ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ৬:১৮:০৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই দেশ আরও উন্নত হতো টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা নান্দাইলে নারী শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা তীব্র গরমে জনজীবনে দুর্ভোগ, বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দী অবস্থায় সুচি কৃষকরাই অর্থনীতির মূল শক্তি: স্পিকার মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

হোটেলে কোয়ারেন্টিন সুবিধা পাচ্ছেন না চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা

ডেস্ক রিপোর্ট | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৪ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২০ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

করোনার চিকিৎসাসেবা দেওয়া হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক ও নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য হোটেল কোয়ারেন্টিনের যে সুবিধা দেওয়া হচ্ছিল, তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। তবে যারা বিভিন্ন কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে চলতি রোস্টারে দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের ক্ষেত্রে দুই সপ্তাহ পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

গত ২৯ জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্রে বিষয়টি জানানো হয়।

পরিপত্র জারির পর বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসকদেরকে হোটেলে অবস্থান না করার অনুরোধ জানিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে।  
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সরকারের খরচ কমানোর স্বার্থে হোটেলের পরিবর্তে আলাদাভাবে নির্দিষ্ট কিছু স্থানে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাছাড়া যারা বাড়িতে কোয়ারেন্টিন পিরিয়ড পার করবেন, তাদের জন্যও বিশেষ ভাতা দেওয়া হবে।

পরিপত্রে আরো বলা হয়, ঢাকা মহানগরের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ১৫ দিন কর্মকালীন পৃথক অবস্থানের জন্য-বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস একাডেমি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ম্যানেজমেন্ট (বিয়াম), জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি, ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব এডুকেশনাল ম্যানেজমেন্ট (নায়েম), টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ও জাতীয় স্থানীয় সরকার ইন্সটিটিউটে অবস্থান করতে পারবেন। আর ঢাকা মহানগরের বাইরে সব জেলা ও উপজেলার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে সেখানে অবস্থিত বিভিন্ন সরকারি ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে তাদের জন্য এমন ব্যবস্থা করা হবে।

পরিপত্রে আরো বলা হয়, রাজধানী ঢাকার মধ্যে দায়িত্বপালনকারী চিকিৎসকরা দৈনিক ২ হাজার টাকা এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার ৮০০ টাকা ভাতা পাবেন। একইভাবে নার্সরা ঢাকার মধ্যে এক হাজার ২০০ ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে এক হাজার টাকা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ঢাকার মধ্যে ৮০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৬৫০ টাকা ভাতা পাবেন।

এছাড়াও চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের জন্য বিআরটিসির যানবাহন ব্যবহারের বিষয়ে বলা হয়েছে পরিপত্রে। যেখানে বিআরটিসির যানবাহন নেই, সেখানে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রিকুইজিশন করা অথবা ভাড়ায় যানবাহনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. ফরিদ উদ্দিন মিঞা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। তবে চলতি রোস্টারে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের ক্ষেত্রে আরও ১৫ দিন পরে মন্ত্রণালয়ের এ আদেশ কার্যকর হবে। সেক্ষেত্রে রাজধানীতে আলাদাভাবে ছয়টি স্থানে থাকার বিষয়ে আমাদের সচিব একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সেখানে তারা থাকতে পারবেন। এক্ষেত্রে বিআরটিসি বাসে যাতায়াতের সুবিধা দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেখানে সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল রাজধানীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন্য ২০টি হোটেল নির্ধারণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তখন থেকেই চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা এই সুবিধা পেয়ে আসছিলেন।

-জেডসি