ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৫:৪৮:০৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

বদলে গেছে কুমিল্লার কৃষির চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩২ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২২ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আধুনিক প্রযুক্তি, সময়োপযোগী কৃষিনীতি আর কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বদলে গেছে কুমিল্লার কৃষির চিত্র। দেড় যুগ ধরে কৃষিক্ষেত্রে কুমিল্লা জেলায় সবজি চাষে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। সবজির উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকদের আয়ও বেড়েছে।
কুমিল্লার চান্দিনা, বুচিড়ং, বরুড়া, দাউদকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলতি বছর ব্যাপক শীলকালীন সবজি চাষ হয়েছে। উল্লেখযোগ্য হল ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, লাউ, শিম, বেগুন, পটল, মূলা, আলু, টমেটো, পালংশাকসহ হরেক রকমের কাঁচা তরিতরকারি। এসব সবজি শীতল আবহাওয়ায় সবচেয়ে ভাল হয়। কৃষকরা এসব সবজি কম সময়ে অধিক লাভবান হওয়ার দিন দিন চাহিদা বেড়েই চলছে। এসময় শীতকালীন শাক-সবজির দাম বেশি হয়ে থাকে। সেই কারণে কৃষকরা সবজি চাষে ব্যস্ত সময় কাটায়। মুনাফার আশায় কৃষকরা এবছরও প্রচুর পরিমান সবজি চাষ করছেন। আভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগের উন্নয়ন ও সুষ্ঠু পরিবহন ব্যবস্থার কারণে কৃষকরা এখন সহজেই উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারছে। এ কারণে কৃষি কাজ এখন লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। তবে পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা গেলে কৃষকরা আরও অধিক জমিতে সবজি চাষে আগ্রহী হবে বলে জানান এলাকার কৃষকগণ। আর তা সম্ভব হলে উপজেলার কৃষিখাত আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। বর্তমানে কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার ছায়কোটের চাষিরা , সবজি চাষে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সবজির মধ্যে বর্তমানে শিম, লাউ, পটল, বেগুন অধিক লাভজনক। শিম ও বেগুন চাষে লাভ বেশি হওয়ায় অনেকেই এতে উৎসাহিত হচ্ছেন। মিষ্টি কুমড়া, কচু, আলু ইত্যাদি ফসলের প্রতিও কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কম সময়ে সবজি চাষে বেশী লাভ হয় বলে অনেকে ঝুঁকে পড়ছেন সবজি চাষে। শ্রীমন্তপুর গ্রামের কৃষক রমজান আলী  জানান, এক কানি জমিতে বেগুন চাষ করলে খরচ হয় ১৫-২০ হাজার টাকা। উৎপাদিত ফসল হয় প্রায় ২ থেকে আড়াইশত মণ বেগুন হয় ক্ষেতে। এতে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ আসে। এ বছর সবজির দাম বেশি পাওয়ায় অনেক কৃষকের ভাগ্য বদলে গেছে। 
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সুরজিত চন্দ্র দত্ত বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের নজরদারি ও উপজেলা পর্যায়ে চাষিদেরকে কৃষি কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ, পরামর্শসহ সবধরণের লজিষ্টিক সার্পোট দেওয়াতে এবং আবহাওয়া সম উপযোগী হওয়ায় এবারে লক্ষ্যমাত্রা অনেক ছাড়িয়ে যাবে।