ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১২:১৬:৪০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
টাঙ্গাইলে শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁতীরা রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম সেতু থেকে খাদে পড়ে বাসে আগুন, নিহত ৪৫ রমজানের অর্ধেকেও কমেনি মাছ ও মাংসের দাম ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ বিশ্বে প্রতিদিন খাবার নষ্ট হয় ১০০ কোটি জনের বাসায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন খালেদা জিয়া

রওশন আরা বাচ্চু: মৃত্যুহীন প্রাণ

ময়না সরকার | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:০৮ পিএম, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

রওশন আরা বাচ্চু: মৃত্যুহীন প্রাণ

রওশন আরা বাচ্চু: মৃত্যুহীন প্রাণ

ভাষাসৈনিক রওশন আরা বাচ্চু আজ মঙ্গলবার আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে তার অপরিসীম অবদানের কথা জাতি চিরদিন কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে। এই মৃত্যুহীন প্রাণ নারী সারাজীবন দেশ ও জাতির জন্যে কাজ করে গেছেন।
 
রওশন আরা বাচ্চু ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষা আন্দোলনের একজন অন্যতম সংগ্রামী। ২১ ফেব্রুয়ারিতে যে সকল ছাত্র নেতারা ১৪৪ ধারা ভাঙ্গতে চেয়েছিলেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম।

রওশন আরা ১৭ ডিসেম্বর ১৯৩২ সালে সিলেটের মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার উছলাপাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার বাবার নাম এ এম আরেফ আলী এবং মায়ের নাম মনিরুন্নেসা খাতুন।

১৯৪৭ সালে পিরোজপুর গার্লস স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন রওশন আরা। এরপর বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে ১৯৪৮ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে অনার্স করেন। পরে ১৯৬৫ সালে বিএড ও ১৯৭৪ সালে ইতিহাসে এমএ পাশ করেন।

তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হল এবং উইম্যান স্টুডেন্টস রেসিডেন্স এর সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি গণতান্ত্রিক প্রোগ্রেসিভ ফ্রন্ট এর সাথে ছাত্র রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন।

রওশন আরা বাচ্চু বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত ছিলেন। ঢাকার আনন্দময়ী স্কুল, লিটন অ্যাঞ্জেলস, আজিমপুর গার্লস স্কুল (খন্ডকালীন), নজরুল একাডেমি, কাকলি হাই স্কুল এবং পরে আলেমা একাডেমির সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। সবশেষে ২০০০ সালে বিএড কলেজে অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় রওশন আরা বাচ্চু ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ২১ ফেব্রুয়ারিতে যে সকল ছাত্র নেতারা ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার পক্ষে ছিলেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি জনমত সমর্থনের জন্যও ব্যাপক তৎপরতা চালান।

তার অনুপ্রেরণায় ইডেন মহিলা কলেজ এবং বাংলাবাজার বালিকা বিদ্যালয় এর ছাত্রীদের সংগঠিত করে আমতলার সমাবেশ স্থলে নিয়ে আসেন। এখান থেকেই ছাত্রনেতারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেন। তারা ব্যারিকেড টপকিয়ে মিছিল নিয়ে এগুনোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে ব্যরিকেড টপকানো বেশ কঠিন ছিলো।

রওশন আরা বাচ্চু তার দলের সবাইকে নিয়ে পুলিশের তৈরি ব্যারিকেড ভেঙ্গে ফেলেন। এরপরই পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে নিহত ও আহত হন অনেকে। রওশন আরা বাচ্চুও এ সময় আহত হন।

রওশন আরা বাচ্চু আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।