ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, ডিসেম্বর ২০২৫ ১:০৬:০২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সবার সহযোগিতা চায় সরকার

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:০২ পিএম, ১০ আগস্ট ২০১৯ শনিবার

কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে সরকারিভাবে সকলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। শুক্রবার এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, কোরবানির দিন সকলের সুস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য জনগণের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, কোরবানিকৃত পশুর রক্ত, নাড়িভূড়ি, গোবর, চামড়া ইত্যাদি সুষ্ঠুভাবে অপসারণ না করলে চারদিকে দুর্গন্ধময় পরিবেশের সৃষ্টি হতে পারে। এ বর্জ্য নর্দমায় ফেললে রোগ জীবাণু ছড়িয়ে মানুষকে আক্রান্ত করে। প্রায় ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বর্জ্যরে চাপে ড্রেন বা নর্দমা বন্ধ হয়ে যাবার আশংকা থাকে। আবার অল্প বৃষ্টিতে নর্দমা আটকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতে পারে।

তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, সচেতনতার অভাবে জবাইকৃত পশুর রক্ত এবং অপ্রয়োজনীয় অংশ নর্দমাসহ যেখানে সেখানে ফেলার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই বিস্তারসহ পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে। এ পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে কোরবানির সময় শহর থেকে গ্রামের সর্বত্র সকলকে কিছু সামাজিক দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

এতে বলা হয়েছে, সরকার নির্ধারিত স্থানে ও পরিষ্কার জায়গায় পশু কোরবানি দিতে হবে। রক্ত শুকিয়ে যাওয়ার আগেই ধুয়ে ফেলতে হবে। মাটিতে গর্ত করে তার মধ্যে রক্ত, গোবর ও পরিত্যক্ত অংশ মাটিচাপা দিতে হবে। বর্জ্য অপসারণ এবং মাংস বিতরণে পরিবেশ সম্মত ব্যাগ ব্যবহার করাই উত্তম। পশুর হাড়সহ শক্ত বর্জ্য ও অন্যান্য উচ্ছিষ্টাংশ যেখানে-সেখানে না ফেলে ব্যাগে ভরে সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত জায়গায় ফেলতে হবে।

নাড়িভূড়ি বা এ জাতীয় বর্জ্য কোনভাবেই পয়ঃনিষ্কাশন নালায় ফেলা ঠিক নয়। নিজের ইচ্ছেমতো যত্রতত্র কোরবানি না দিয়ে কয়েকজন মিলে একইস্থানে কোরবানি দিলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুবিধা হয়।

কোরবানির বর্জ্য ত্বরিৎ অপসারণে সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, জীবাণু যাতে না ছড়ায় তার জন্য কোরবানির স্থানে ব্লিচিং পাউডার বা জীবাণুনাশক ছড়িয়ে দিতে হবে।