ঈদের জামাত শেষে নগরজুড়ে পশু কোরবানি
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:৫১ পিএম, ১২ আগস্ট ২০১৯ সোমবার
ছবি: সংগৃহীত
দেশজুড়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন চলছে। ঈদের জামাত শেষে গরু-ছাগল জবাই, মাংস বিলি আর রান্না-খাওয়ায় উৎসবের আমেজে ঈদুল আজহা পালন করছেন মুসলমান সম্প্রদায়।
রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাত হয় সোমবার সকাল ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। নামাজ শেষে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন পশু কোরবানিতে।
দূষণ এড়াতে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে। তাতে সাড়া মেলেনি এবারও। বরাবরের মতই নগরজুড়ে রাস্তা ও অলিগলিতে পশু জবাইয়ের দৃশ্য দেখা গেছে।
নির্ধারিত স্থান বাদ দিয়ে সড়কে পশু জবাইয়ের কারণ জানতে চাইলে সেগুনবাগিচার বাসিন্দা সোলায়মান আলম বলেন, আমাদের আগ্রহ নাই। নির্ধারিত স্থানে ভিড়ভাট্টা, ঝামেলা লেগেই থাকে।
তিনি বলেন, তার চেয়ে নিজ দায়িত্বে কোরবানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলব।
এদিকে কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপসারণের ওপর জোর দিচ্ছে নগর কর্তৃপক্ষ। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম যত দ্রুত সম্ভব পশুর হাটের আবর্জনা ও অস্থায়ী স্থাপনা পরিষ্কার করবেন বলে কথা দিয়েছেন।
উত্তর সিটি করপোরেশন এ বছর মহাখালী পশু জবাইখানাসহ ২৭৩টি স্থানে পশু কোরবানির ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া কোরবানি করা যাবে এ রকম ৪০০টি স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছে। আর দক্ষিণে ৬০২টি স্থান পশু কোরবানির জন্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
সিটি করপোরেশনের হিসাবে কোরবানির ঈদে ঢাকায় পাঁচ লাখের মত পশু কোরবানি হয়। এসব পশুর বর্জ্য সরিয়ে নিতে মাঠে রয়েছেন দুই সিটি করপোরেশনের প্রায় ১৮ হাজার পরিচ্ছন্ন কর্মী।
মহাখালী পশু জবাইখানায় যারা কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন, তাদের পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুত বাবদ ২৫ শতাংশ খরচ সিটি করপোরেশন বহন করবে বলে জানিয়েছেন উত্তরের মেয়র।
উত্তর সিটির পক্ষ থেকে এবার পশু কোরবানির জন্য ১০০ জন ইমাম এবং ২০০ জন মাংস প্রস্তুতকারীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
কোরবানির বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। রোববার জাতীয় ঈদগাহ মাঠের সার্বিক প্রস্তুতি পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সাঈদ খোকন বলেন, ঈদের প্রথম দিনের বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের কোরবানির বর্জ্যও দ্রুত অপসারণ করা হবে।
-জেডসি