ঢাকা, মঙ্গলবার ০৭, মে ২০২৪ ১৮:৫১:৫৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

প্রবাসী ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে পিটিয়ে বুকের হাড় ভাঙলেন ভাসুর

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:৫৩ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০১৯ শুক্রবার

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নরসিংদীতে পারিবারিক বিরোধের জেরে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে দুই দফায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ মারধরের ফলে আঙ্গুলি বেগম (২৫) নামে গৃহবধূর বুকের হাড় ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

গত সোমবার ও মঙ্গলবার নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের কাকশিয়া গ্রামে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ ওই গ্রামের প্রবাসী মাসুদের স্ত্রী।

স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সোমবার নির্যাতিতার ঘরের সামনে রশি টানানো এবং বাড়িতে পানির পাম্প বসানো নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ান ওই নারীর স্বামী মাসুদের চাচাতো ভাই হিরন মিয়া। পরবর্তীতে হিরনের ছোটভাই সোলায়মান, লালমিয়া এবং তাদের বাবা তারা মিয়া মিলে ওই গৃহবধূকে মারধর করে বাম হাত ভেঙে দেন।

এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আমানউল্লাহ আমানের কাছে বিচারের জন্য যান। ওই ইউপি সদস্য ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন হিরন।

পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আবারও ওই গৃহবধূকে হিরন তাদের বাড়িতে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে তিনিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মিলে বেধরক পিটুনি দেন। পাশাপাশি আঙ্গুলি বেগমের ঘরে ভাঙচুর চালানোসহ মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন হিরন।
এদিকে ওই গৃহবধূকে পুনরায় নির্যাতনের সময় তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা আবারও ইউপি সদস্য আমানউল্লাকে ডেকে আনেন। এ সময় আমানউল্লাহসহ প্রতিবেশীরা ওই নারীকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাতে পাঁচদোনা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গেলে তিনি বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

পরে সেখান থেকে তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানান, ওই নারীর বুকের দুটি হাড় ভেঙে গেছে।

এদিকে এই ঘটনায় পাঁচদোনা ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। শুধুমাত্র নির্যাতিতা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ তদন্ত করে খতিয়ে দেখে তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কাকশিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য আমানউল্লাহ বলেন, ‘এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই নারীকে একা পেয়ে যে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটিয়েছে হিরন ও তার পরিবার সেটার সঠিক বিচার দাবি করছি।’

হিরন এর আগেও এলাকার অন্য লোকজনের সঙ্গে একাধিকবার মারধরের ঘটনায় জড়িয়েছেন বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।