ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ০:৫৩:১২ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

আজ ১০ মহররম মঙ্গলবার পবিত্র আশুরা

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৪৪ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

আজ মঙ্গলবার পবিত্র আশুরা। মহররম মাসের ১০ তারিখ। মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। পৃথিবীর অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রের মত বাংলাদেশেও যুগ যুগ ধরে অত্যন্ত সম্প্রীতির পরিবেশে আশুরা পালিত হয়ে আসছে।

হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, মহররমের ১০ তারিখ ইসলামের ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম মানব হজরত আদম (আ.) এই দিনে পৃথিবীতে আগমন করেন, তার তওবা কবুল হয় এই দিনেই। এই দিনে হজরত নূহ (আ.)-এর নৌকা মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা পায়।

তবে মুসলমানরা এই দিবসটি পালন করেন মূলত কারবালার প্রান্তরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.)-এর শাহাদতবরণের ঘটনার স্মরণে।

এই দিনে হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) অন্যায় ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে চক্রান্তকারী ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে কারবালা প্রান্তরে পরিবার-পরিজন ও ৭২ জন সঙ্গীসহ মর্মান্তিকভাবে শাহাদতবরণ করেন। এই হত্যাকাণ্ড ছিল অত্যন্ত নির্মম। অসহায় নারী ও শিশুদের পানি পর্যন্ত পান করতে দেয়নি ইয়াজিদ বাহিনী। ফলে এ দিনটি মুসলমানদের জন্য শোকের দিনও বটে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) আশুরা উপলক্ষে রাজধানীর নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে। কয়েক স্তরের সুদৃঢ় নিরাপত্তাব্যবস্থার পাশাপাশি হোসেনি দালানে প্রবেশের চার মুখে চেকপোস্টে সাদা পোশাকের নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

ডিএমপির পক্ষ থেকে পবিত্র আশুরার তাজিয়া মিছিলে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারিসহ যে কোনো ধরনের ধাতব ও দাহ্য পদার্থ এবং টিফিন ক্যারিয়ার বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মিছিলে আতশবাজি এবং পটকা ফাটানোর ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিবিকা রওজাসহ রাজধানীতে মিছিল যাওয়ার প্রতিটি পথে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া জরুরি পরিস্থিতির জন্য পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ও ডগ স্কোয়াড, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াটকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পুলিশের এসব ব্যবস্থার পাশাপাশি জনসাধারণেরও সচেতন থাকা প্রয়োজন, যাতে শান্তি ভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে কোনো মহল তৎপর হতে না পারে।

আশুরার মূল চেতনা অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম। এটাই মহররমের শিক্ষা। কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়, ‘ত্যাগ চাই, মর্সিয়া-ক্রন্দন চাহি না’। অন্যায়-অবিচার ও ষড়যন্ত্র থেকে পৃথিবীকে মুক্ত রাখতে ত্যাগের মহিমা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।