পশ্চিমা পোশাকে ‘দুঃসাহসী’ সৌদিকন্যা মশিল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১২:২৬ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার
মশিল আল জালোদ।
চরম রক্ষণশীল পরিবেশে বেড়ে ওঠেন সৌদি আরবের নারীরা। অনেক বিধি-নিষেধের মধ্যে থাকেন তারা। কিছুদিন হলো সে দেশের নারীরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পেয়েছে, অনুমতি পেয়েছে ব্যবসা করারও।
তবে এসব অনুমতি দেওয়া হলেও পোশাকে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। বাড়ি থেকে বের হলেই তাদের বোরকা পরতে হয়। এমন নিয়ম-নীতির দেশেই এবার এক সৌদি নারী পশ্চিমা পোশাকে শপিং মলসহ নানা ‘পাবলিক প্লেসে’ গিয়ে দুঃসাহসের পরিচয় দিয়েছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম মেট্রো.কো.ইউকে’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদির এ ‘দুঃসাহসী’ নারীর নাম মশিল আল জালোদ। কোনো সংকোচ ছাড়াই তিনি সৌদির রাজধানী রিয়াদের একটি শপিং মলে পশ্চিমা পোশাকে ঘুরে বেড়ান।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ৩৩ বছর বয়সী এ নারী রিয়াদে পশ্চিমা পোশাকে ঘুরে বেড়ালে তা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজরে আসে। মশিল আল জালোদ সেদিন কমলা রঙের ব্লেজার পরেছিলেন। ব্লেজারের সঙ্গে সাদা টি-শার্টও নজরে এসেছে সবার।
বোরখার আড়ালে সৌদি নারীদের চুল দেখা যেখানে অসম্ভব, সেখানে তিনি খোলা চুলে রিয়াদের রাস্তায় ও শপিং মলে ঘুরে বেড়ালেন। বোরকার জায়গায় তার এ পশ্চিমা পোশাক সৌদি আরবের সামাজিক বাস্তবতায় দুঃসাহসিক না বলে উপায় নেই।
পেশায় মানবসম্পদ উন্নয়ন কর্মকর্তা জালোদ নারী স্বাধীনতা নিয়ে নিজের মতো করে আন্দোলনে নেমেছেন। হিজাব, বোরকা ছেড়ে শার্ট, ট্রাউজার পরেই এখন তিনি চলাফেরা করেন, অফিসেও যাচ্ছেন।
জালোদের এমন পশ্চিমা পোশাক পরা দেখে সৌদির অনেক নারীই উৎসাহিত হচ্ছেন। পোশাকের বাইরে এখন সৌদি নারীদের রূপচর্চাতেও পরিবর্তন এসেছে। বাড়ির বাইরে পার্লারে গিয়ে তারা নিজেদের চেহারার যত্ন নিচ্ছেন, যা একসময় ভাবাই যেত না।
সৌদি আরব সরকারও ইদানীং নারীদের বিষয়ে তাদের নীতি কোমল করছে। সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানও নারীদের স্বাধীনতা দানে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন। সৌদি নারীদের জন্য হিজাব, বোরকা আর বাধ্যতামূলক রাখা হবে না বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন সৌদি প্রিন্স।