ঢাকা, সোমবার ২৯, এপ্রিল ২০২৪ ৭:৩৯:৫৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মহাকাশে সিমেন্ট গুলছে নাসা

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৭:৫২ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার

ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে (আইএসএস) এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। মহাসমারোহে সিমেন্ট গুলছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। গত কয়েক মাস ধরেই এ প্রক্রিয়া চলছে সমানে। মহাকাশের ওজন শূন্য অবস্থা বা মাইক্রোগ্র্যাভিটির মায়া কাটিয়ে সিমেন্ট যদি একবার শক্ত হয়ে এঁটে বসে, তাহলেই কেল্লাফতে! চাঁদে বানানো হবে বাড়ি।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সব কিছুই প্রায় ওজন শূন্য দশায় থাকে। সেখানে নিচে টেনে নামানোর ‘শক্তি’ অভিকর্ষ বলটাই নেই। যাকে বলে, ‘মাইক্রোগ্র্যাভিটি’। ফলে মহাকাশচারীসহ সব কিছুকেই ভেসে থাকতে হয় মহাকাশে। এ মাইক্রোগ্র্যাভিটি নিয়ে আইএসএসে গবেষণা বহু বছর ধরেই চলছে।

এ মাইক্রোগ্র্যাভিটিকে চ্যালেঞ্জ করেই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রজেক্ট সিমেন্ট সলিডিফিকেশন। অর্থাৎ এই বিনা-অভিকর্ষজ বলের মধ্যেই সিমেন্টকে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে মিশিয়ে, জমিয়ে শক্ত করা। নাসার এ প্রকল্পের পোশাকি নাম ‘মাইক্রোগ্র্যাভিটি ইনভেস্টিগেশন অব সিমেন্ট সলিডিফিকেশন (এমআইসিএস)।’

এই জমানো সিমেন্ট হবে বর্ম- এমনটাই জানিয়েছে নাসা। পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকা এ আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে তেজস্ক্রিয় রশ্মিরা আগেও হানা দিয়েছিল। সিমেন্টের বর্ম থাকলে যে কোনো মহাজাগতিক রশ্মির হাত থেকে মহাকাশচারীদের বাঁচানো যাবে। পাশাপাশি তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় থাকবে। নাসার পরবর্তী মিশন চাঁদে ও মঙ্গলে মানুষ পাঠানো।

এ মাইক্রোগ্র্যাভিটির সঙ্গে যুদ্ধে সিমেন্ট যদি জিতে যায়, তাহলে আগামী দিনে চাঁদে বাড়ি বানাতে কোনো সমস্যাই হবে না। মঙ্গলেও মহাকাশচারীদের থাকার একটা হিল্লে হবে। পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর আলেকসান্দ্রা রাডলিঙ্কসা জানিয়েছেন, সিমেন্ট সলিডিফিকেশন প্রজেক্টে সাফল্য মিললে শুধু নাসা নয়, বিশ্বের যে কোনো দেশের মহাকাশচারীদের অনেক সুবিধা হবে। সূত্র : দ্য ওয়াল।