রাষ্ট্রপতি যদি নির্দেশ দেন সরে যাবো: জাবি উপাচার্য
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৩:২৫ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত
আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ যদি নির্দেশ দেন তবে সরে যাবো জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেছেন, যদি আমাকে নির্দেশ না দেন তবে আন্দোলনকারীদের গালমন্দ খেয়েও থেকে যাবো। তাদের আন্দোলন হয়তো আরো দীর্ঘায়িত হবে। কিন্তু, নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আমি আমার দায়িত্ব পালন করে যাবো।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনা শেষে এই কথা বলেন তিনি।
১৮ সেপ্টেম্বর কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে ‘দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আলোচনা শেষ হয়। আন্দোলনকারীরা ১ অক্টোবরের মধ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের পদত্যাগ দাবির পাশাপাশি আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সকল পরীক্ষাকেন্দ্রে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে আলোচনা শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
দুর্নীতির অভিযোগের বিষয় নিয়ে জাবি উপাচার্য বলেন, জীবনে কখনো ৫০০ টাকার বেশি ঈদ সেলামি পাইনি। এতো (অভিযোগ ওঠা দুই কোটি) টাকা আমি দেবো কোথা থেকে? আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী, আমি ইউজিসি ও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তাছাড়া, আমি কি পারি আর কি পারি না; সেটা অধ্যাদেশে বলা রয়েছে। সেখানে নিজেই নিজের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করতে কথা বলা নেই।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য এক হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় একনেক। গত ১ মে ৬টি হলের টেন্ডার আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ। কাজের শুরু হওয়ার পর থেকেই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে টেন্ডার শিডিউল ছিনতাইয়ের অভিযোগ ওঠে। এছাড়া, প্রশাসনের বিরুদ্ধে ঈদের আগে ছাত্রলীগকে ২ কোটি টাকা ‘ঈদ সেলামি’ দেয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে তা সুষ্ঠু তদন্তের দাবিসহ ৩ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী। গত ১২ সেপ্টেম্বর আলোচনায় দুইটি দাবি মেনে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অপর দাবি ‘তদন্ত কমিটি গঠন’ নিয়ে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এই আলোচনায় বসে প্রশাসন ও আন্দোলনকারীরা।
-জেডসি
