বশেমুরবিপ্রবিতে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন
ইউএনবি
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৮:২৬ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শুক্রবার
ছবি : ইউএনবি
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে শুক্রবার ছুটির দিনেও অনশন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
গত তিন দিন ধরে আন্দোলন অব্যাহত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে আছে। শিক্ষা জীবন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ছে। তারা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ৮-১০ জন পুলিশ বসে আছে। ফটক দিয়ে কিছু দূর যেতেই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর সমাগম, তাদের ‘এক দফা এক দাবি ভিসি তুই কবে যাবি’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘ভিসির গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’ সহ বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান শ্লোগানে মুখরিত হয়ে আছে।
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখা নিয়ে মন্তব্য করার কারণে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভিসির বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।
কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের ৫ ঘণ্টা পর আন্দোলন শুরু করে।
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এক দফা এক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরণ অনশনে নামে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ অনশন ভাঙবে না বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তারা বলেন, তাদের একটাই দাবি ভিসির পদত্যাগ। ভিসির পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে অনশন করতে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২ জন শিক্ষার্থী শুক্রবার সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদেরকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
