ঢাকা, সোমবার ০৬, মে ২০২৪ ১৯:৪৩:১৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

পেঁয়াজের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৪০ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ শনিবার

প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন নেই বাজারে।

সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের বাজারদরের প্রতিবেদনেও শুক্রবার আরেক দফা পেঁয়াজের দাম বাড়ার তথ্য তুলে ধরেছে।

সংস্থাটির হিসেবেই গতকাল খুচরাবাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা ছুঁয়েছে। আর আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। অথচ মাত্র এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

টিসিবির হিসেবে, এক বছরের ব্যবধানে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম ১০০ শতাংশ ও দেশি পেঁয়াজের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে হঠাত্ করে পেঁয়াজের দামের এই মূল্য বৃদ্ধিতে ভোক্তান্তিতে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ।

দেশে বছরে মোট পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে গত ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে দেশে উত্পাদন হয়েছে ২৩.৭৬ লাখ টন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, গত অর্থবছরে আমদানি হয়েছে (ঋণপত্র নিষ্পত্তি) ১০ লাখ ৯২ হাজার টন পেঁয়াজ। সবমিলিয়ে মজুতকৃত মোট পেঁয়াজের পরিমাণ ৩৪ লাখ টনেরও বেশি। যদি ৩ থেকে ৪ লাখ টন ঘাটতি ধরা হয় তারপরও মজুতকৃত মোট পেঁয়াজের এই পরিমাণ চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। তাহলে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে কেন এই প্রশ্ন ভোক্তাদের।

আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, ভারতের মধ্যপ্রদেশসহ পেঁয়াজের বড়ো সরবরাহকারী রাজ্যগুলোতে বন্যা হওয়ায় পেঁয়াজের উত্পাদন কমে গেছে। ফলে ভারত তাদের পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে।

এদিকে স্বল্প আয়ের মানুষের সুবিধার্থে টিসিবি রাজধানীর ৫টি স্থানে ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করলেও এর কোনো প্রভাব নেই বাজারে। ভোক্তারা জানিয়েছে, টিসিবি এত অল্প পরিমাণে পেঁয়াজ বিক্রি করছে যে, তা চাহিদার তুলনায় খুবই সামান্য। প্রতিদিন ৫টি ট্রাকে টিসিবি মাত্র ৫ টন পেঁয়াজ বিক্রি করছে। অথচ প্রতিদিন চাহিদা কয়েক হাজার টন।