ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৩:২৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বশেমুরবিপ্রবিতে চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২৯ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বন্ধ ঘোষণার পরও গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আজ চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।  রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা আন্দোলন করছেন।

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. বশির উদ্দীন বলেন, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার অফিস আদেশ থাকলেও তারা হলেই অবস্থান করেছে।

এদিকে ক্যাম্পাস উত্তাল থাকায় ক্যাম্পাসসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ এবং সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। তবে শিক্ষার্থীরা সে আদেশ না মেনে তারা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখে। পরে শনিবার ক্যাম্পাসের বাইরে বিভিন্ন স্থানে বহিরাগতদের হামলার শিকার হয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সহকারী প্রক্টর হুমায়ূন কবীর পদত্যাগ করেন। পরে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর করা হয় ড. বশির উদ্দীনকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. নূরউদ্দিন আহমেদ জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এজন্য হলের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসককে ১৪৪ ধারা জারি ও পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ক্যাম্পাসে মোতায়েনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ধাওয়ার বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। এদিকে সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগপত্র হাতে পাননি বলেও জানান রেজিস্টার।

ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, শিক্ষার্থীদের উপর কে বা কারা হামলা করছে আমার জানা নেই। ক্যাম্পাসে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যদি আন্দোলনকারীর না যায় তবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে, ১৪৪ ধারা জারি করতে হবে। তবে ভিসি আমাকে ১৪৪ ধারা জারির জন্য অনুরোধ করেছেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান এ পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছি।  

উল্লেখ্য, গেল ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পরে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়াসহ আরও কয়েকটি দাবি কর্তৃপক্ষ মেনে নেয়। তবে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অন্দোলন চালিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা।

-জেডসি