ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ১৫:১৯:০২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

দিল মনোয়ারা মনু একটি আদর্শের নাম: স্মরণসভায় বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:৩৩ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

বিশিষ্ট সাংবাদিক দিল মনোয়ারা মনু

বিশিষ্ট সাংবাদিক দিল মনোয়ারা মনু

কথামালা, গান, কবিতা আর স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক দিল মনোয়ারা মনুকে স্মরণ করল বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনুর সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা, কবি ঝরনা রহমান, দিল মনোয়ার মনুর স্বামী এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের কোষাধ্যক্ষ আকতার জাহান মালিক, সাধারন সম্পাদক পারভিন সুলতানা ঝুমা, সাংবাদিক শাহানাজ সিদ্দিকী প্রমুখ।

দিল মনোয়ারা মনুর জীবনী পাঠ করেন নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের প্রকাশনা সম্পাদক শরীফা বুলবুল। ‘অশ্রু ভরা বেদনা’ গানটি পরিবেশন করেন রোকাইয়া হাসিনা নিলি।

নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, দিল মনোয়ারা মনু শুধু ভালো সাংবাদিকই নন, তিনি একটি আদর্শের নাম। অসম্ভব অমায়িক, সামাজিক, মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। মানুষের কল্যাণেই তিনি তার সময় ব্যয় করেছেন। তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি আমাদের হৃদয়ে বেঁচে আছেন, বেঁচে থাকবেন।

উম্মে সালমা বলেন, দিল মনোয়ারা মনুকে নয়, আমরা একটি আদর্শকে হারিয়েছি। যিনি একজন মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। তিনি আমাদের উপর ছায়া হয়ে থাকবে। নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, তিনি একজন যোগ্য রুচিশীল ও মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। নারী সাংবাদিকতায় অনন্য অবদান রেখে গেছেন। তার লেখার মধ্য দিয়ে তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।

তিনি আরো বলেন, দিল মনোয়ারা মনু অনেকেকে হাত ধরে ধরে লিখতে শিখিয়েছেন। অনন্যার সাথে তার আকস্মিক বিচ্ছিন্নতায় তিনি অনেক দুঃখ পেয়েছিলেন বলেও মন্তব্য করেন এই সাংবাদিক নেত্রী।

শামসুল হুদা বলেন, সাংবাদিকরা বলে থাকেন প্রেসক্লাব তাদের সেকেন্ড হোম। আর মনুর জন্য এই প্রেসক্লাব নয়, এই এলাকাটাই সেকেন্ড হোম ছিল। এসব এলাকাই ছিল তার বিচরণ ক্ষেত্র।

তিনি বলেন, মনু একজন ভালো সম্পাদকই ছিলেন না, চমৎকার একজন কবিও ছিলেন। কোনো ঘটনা ঘটলে তিনি তার উপর কবিতা লিখে ফেলতেন। তবে তা প্রকাশের ক্ষেত্রে ছিল তার বেশ উদাসীনতা।

ঝর্ণা রহমান বলেন, তিনি সামাজিক এবং একজন মানবিক মানুষ ছিলেন। তার ব্যক্তিত্বের আলো নতুন প্রজন্মের পাথেয় হয়ে থাকবে।