ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮, মার্চ ২০২৪ ২১:৪১:৩৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

সাগর-রুনি হত্যার তদন্তে হতাশ হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:৩১ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০১৯ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ধীর গতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্ট বলেছেন, ৮ বছরেও তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে মামলা বাতিল চেয়ে আসামি তানভীরের মামলা কবে শেষ হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এবিষয়ে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আগামী বৃহস্পতিবার আসামি তানভীরের মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদনের আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই মামলার তদন্তে হতাশা ব্যক্ত করেন

আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

সকালে তদন্ত কর্মকর্তা খন্দকার শফিকুল আলম হাজির হয়ে জানান, তদন্তে কোনো ক্লু (সূত্র) পাওয়া যায়নি। চারটি ডিএনএ প্রতিবেদনের মধ্যে দুটি মিলেছে। এ দুটিতে আসামিদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে সেগুলো ফের যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআইর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

আদালত জানান, আগামী ১৪ নভেম্বর এ মামলার সন্দেহভাজন আসামি তানভীর রহমানের জামিন আবেদনের ওপর আদেশ দেয়া হবে।

এর আগে গত ২০ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছিলেন। ২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর আসামি তানভীর রহমান হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ৮ আসামি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাড়িতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। সাগর তখন মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় ছিল তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ। হত্যাকাণ্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

সব মিলিয়ে এ মামলায় মোট আটজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মো. সাইদ, মিন্টু, কামরুল হাসান ওরফে অরুণ, সাগর-রুনির ভাড়া বাসার নিরাপত্তা প্রহরী এনামুল, পলাশ রুদ্র পাল এবং নিহত দম্পতির বন্ধু তানভীর রহমান। তাদের মধ্যে প্রথম পাঁচজনই মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণ চন্দ্র হত্যার ঘটনায় র‍্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার হন। প্রথম পাঁচজন ও নিরাপত্তারক্ষী এনামুল এখনো এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবাস করছেন।

-জেডসি