ঢাকা, মঙ্গলবার ০৭, মে ২০২৪ ১৪:১৫:০৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

৩০ বছর পর সগিরা মোর্শেদা হত্যার রহস্য উম্মোচন

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৪১ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ভিকারুননেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিআইডিসের গবেষক সগিরা মোর্শেদ হত্যাকাণ্ডের ৩০ বছর পরে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই হত্যায় জড়িত ৪ আসামিকে শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পিবিআইয়ের ডিআইজি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের কথা জানানো হয়।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া বড়ো মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সগিরা মোর্শেদ। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে দুষ্কৃতরা তাকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। সেসময় চাঞ্চল্যকর ঐ খুনের ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র দিয়ে ডিবি পুলিশ বলেছিলো, ছিনতাইকারীর গুলিতে তিনি খুন হন।

এই ঘটনায় গত ১০ নভেম্বর গ্রেফতার হওয়া চারজন হলো- সগিরা মোর্শেদের স্বামীর ভাই ডা: হাসান আলী চৌধু; তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা শাহীন; প্যান ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা আনাস মাহমুদ রেজওয়ান এবং আবাসন ব্যবসায়ী মারুফ রেজা। ৪ জনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই- মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছিলেন সগিরা মোর্শেদ। এই ঘটনায় তার স্বামী আব্দুছ ছালাম চৌধুরী রমনা থানায় মামলা করেন। এই মামলায় মন্টু নামে একজনকে দায়ী করে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলো ডিবি পুলিশ। তবে দীর্ঘদিন আদালতে এই মামলা চাপা পড়ে থাকার পর চলতি বছরের ১১ জুলাই পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।

তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে ৪ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দাখিল করতে আরো দুই মাস সময় চাওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

হত্যার কারণ সম্পর্কে পিবিআই প্রধান বলেন, নিহত সগিরা ও গ্রেফতারকৃত মাহমুদা শাহীন সম্পর্কে জা। পারিবারিক দ্বন্দ্বে সগিরাকে শায়েস্তা করার জন্য মারুফ রেজাকে কন্টাক্ট দেয়া হয়েছিলো। সায়েদাতুলের পরিকল্পনায় যুক্ত হন তার স্বামী হাসান আলী। তার রোগী ছিলেন- প্যান ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা আনাস মাহমুদ। শায়েস্তা করার কথা আনাস মাহমুদকে জানিয়েছিলেন হাসান আলী। আনাস মাহমুদ তখন মারুফ রেজাকে কাজ দেন। ওই অনুযায়ী, মারুফ রেজা প্রথমে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে; বাধা দেয়ার পর সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে। এতেই তিনি মারা যান।

-জেডসি