ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৫:১৫:৫৮ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ফের পেঁয়াজের কেজি দুইশ ছাড়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২৬ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৯ রবিবার

পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা কমছেই না। ফের পেঁয়াজের দাম দুশ টাকার বেশি হয়েছে দেশের বাজারে। ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পর বাড়তে থাকে দাম। বাড়তে বাড়তে কেজিপ্রতি দাম তিনশ ছাড়িয়ে যায়। মাঝখানে দুয়েক দিন দাম কিছুটা কমার পর আবারও বেড়ে গেছে।

সম্প্রতি মিসর, তুরস্ক ও পাকিস্তান থেকে বড় চালান পৌঁছলে তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দাম কমে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু শুক্রবার আবার দাম বেড়ে দুইশর কোটা ছাড়িয়েছে।

গতকাল দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। আজ রোবাবারও একই অবস্থা।

এদিকে পেঁয়াজের কারসাজি করে অর্থ লুটেরাদের ধরতে মাঠে নামবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে সংস্থাটির গোয়েন্দা শাখা বেশ কয়েক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর ওপর নজরদারি শুরু করেছে।

অন্যদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রাজধানীর দ্য হোটেল ওয়েস্টিনে সাংবাদিকদের জানান, আগামী ১০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।

এদিকে রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর, কারওয়ানবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমদানি করা পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে বাজারভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। গত বৃহস্পতিবারও যা ছিল ১৭০ টাকা।

তবে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৬০ থেকে ১৭০, মিসরের পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১৩০ এবং চীনের পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি। এ ছাড়া নতুন দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা এবং পাতাসহ পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি।

রাজধানীর শ্যামবাজার, কারওয়ানবাজারের পাইকারি বাজারেও বেড়েছে দাম। শ্যামবাজারে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৫০, মিসরের ১০০ থেকে ১০৪, চায়নার ১০০ টাকায়, পাকিস্তানি ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ানবাজারের পাইকারি বাজারে দাম তুলনামূলক বেশি। কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১৪৫ থেকে ১৫৫, মিসরের ১১০ থেকে ১১৬, চায়নার ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আগামী ১০ দিনের মধ্যে দেশি পেঁয়াজ ওঠা শুরু হবে। তখন বাজার নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করবে। এ ছাড়া আশা করছি, ২৯ তারিখের মধ্যে কম করে হলেও ১২ হাজার টন পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে।’

ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর দেশে কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে মজুদের মাধ্যমে বেশি দামে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ কারসাজিতে জড়িত আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীর তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে দুদক। একই সঙ্গে ব্যবসায়িক তথ্য ও তাদের নামে-বেনামে থাকা সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

দুদক কর্মকর্তারা বলেছেন, পেঁয়াজের বেআইনি মজুদ দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ নয়। তবে কর ফাঁকি দিয়ে ও মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি করে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়ে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক। কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে যারা বিপুল পরিমাণ অর্থবিত্তের মালিক হয়েছেন তাদের ওপর দুদকের গোয়েন্দা শাখার নজরদারি রয়েছে।

এদিওক সিটি গ্রুপের আমদানি করা পেঁয়াজের দ্বিতীয় চালান কার্গো বিমানে করে আগামীকাল সোমবার দেশে পৌঁছবে। দেশের চলমান পেঁয়াজের সংকট নিরসনের লক্ষ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৫২০ টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই শিল্পগোষ্ঠী।

উল্লেখ্য, দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে এবং উচ্চমূল্য রোধে এস আলম ও মেঘনা গ্রুপের পাশাপাশি সিটি গ্রুপও তুরস্ক থেকে আকাশ ও সমুদ্রপথে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।