হলি আর্টিজান মামলার রায় আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:৩৭ এএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৯ বুধবার
রাজধানীর হলি আর্টিজানে হামলার মামলায় আজ বুধবার রায় দেবেন আদালত। রায়কে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুরো আদালত প্রাঙ্গণ জুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আদালত ভবনে প্রবেশের প্রত্যেক গেটে প্রবেশের সময় প্রত্যেকের ব্যাগ তল্লাশি করছে পুলিশ। এ ছাড়া নারী-পুরুষ উভয়েরই আদালতে আসার কারণ ও বিস্তারিত পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই তাকে আদালতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আদালতের বাইরেও দেখা গেছে। মূল ফটকের বাইরে এবং আদালতে আশেপাশের সড়কগুলোতে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, আজকের রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার থেকেই ব্যাপক নিরাপত্তা-প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ-র্যাব। মঙ্গলবারই পুরান ঢাকার আদালতপাড়ার নিরাপত্তা জোরদার শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আদালত ও এর আশপাশের পুরো এলাকায় নিরাপত্তা তল্লাশিও শুরু করা হয়েছে।
এদিকে, আজ সকাল থেকেই আদালত প্রাঙ্গণে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেকটর ও ডগ স্কয়াড মোতায়েন রয়েছে। পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াত টিমের সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ছাড়া র্যাব পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য ছাড়াও সাদা পোশাকে চালানো হবে গোয়েন্দা নজরদারি। রায় ঘিরে রাজধানীসহ সারা দেশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকার কূটনীতিকপাড়া-গুলশান, বনানী, বারিধারার নিরাপত্তায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। অস্ত্রের মুখে বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে তারা ২০ জনকে হত্যা করে। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। প্রধান আসামিদের মধ্যে পুলিশের অভিযানে ১৩ জন নিহত হওয়ায় তাদের চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়।
ওই বছরের ২৬ নভেম্বর বিচার শুরু করে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। ২১১ সাক্ষীর মধ্যে আদালতে সাক্ষ্য দেয় ১১৩ জন।
হলি আর্টিজান হামলা মামলায় গ্রেপ্তার ৮ জঙ্গিরা হলো- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধী, রাশেদ ওরফে র্যাশ, রাকিবুল ইসলাম রিগ্যান, মিজান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশীদ।
উল্লেখ্য, হলি আর্টিজানে সেনাবাহিনীর অপারেশন থান্ডারবোল্টে নিহত পাঁচ হামলাকারী হলো- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল। এছাড়া এ মামলায় আসামিদের মধ্যে বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত আটজন হলো- তামিম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।
