ঢাকা, সোমবার ০৬, মে ২০২৪ ১৭:৪১:৩৬ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

দেড় কোটি ভক্ত, তরুণীকে রাখতে হয়েছে দেহরক্ষী

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৯:০১ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার

ব্রিটিশ তরুণী হোলি হর্ন।  ছবি:ফেসবুক

ব্রিটিশ তরুণী হোলি হর্ন। ছবি:ফেসবুক

বয়স মাত্র তেইশ। কিন্তু টিকটক-এ তার ভক্তসংখ্যা ইতিমধ্যেই ছাড়িয়েছে এক কোটি ষাট লাখ। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাখতে হয়েছে দেহরক্ষী। মেয়ের এত্ত উপার্জনের কারণে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন মা।

টিকটক ভিডিও করে রাতারাতি লাখপতি ব্রিটিশ তরুণী হোলি হর্ন। ডলারে প্রতি মাসে তাঁর উপার্জন ছুঁয়েছে ৬ অঙ্কের সংখ্যা।

হোলি এখন ব্রিটেনের অন্যতম জনপ্রিয় সুপারস্টার। গ্লসি পাউটেড ঠোঁট, বাদামি চোখ আর ম্যনিকিয়োর করা রঞ্জিত নখ হল মহাতারকা হোলির সাজের ট্রেডমার্ক। তার ভিডিওর দৈর্ঘ্য মাত্র ১৫ সেকেন্ডের। কিন্তু এর জনপ্রিয়তা অভাবনীয়। গত বছর টিকটকে আপলোডেড হওয়া তার একটি ভিডিও ক্লিপ এখনও অবধি দেখা হয়েছে ৭ কোটি ৭২ লাখ বারেরও বেশি।

ইন্টারনেটে হোলির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। তার ভক্তরা মূলত আট থেকে ১৫ বছর বয়সি। প্রতিদিন হোলির অনলাইন পোস্ট এই ভক্তদের শুভেচ্ছায় ভেসে যায়।

বিনোদনের আধুনিক মানচিত্রে টিকটক ভিডিও প্রথম সারিতে। নিয়ম অনুযায়ী, এর কোনও ভিডিওর দৈর্ঘ্য ৫৯ সেকেন্ডের বেশি হবে না। এক মিনিটের কম সময়েই আকৃষ্ট করতে হবে দর্শককে।

পোশাকি ভাষায় টিকটক ভিডিওকে বলা হয় ‘জাঙ্কফুড টেলিভিশন’। খাবারের মতো বিনোদনেও বাজিমাত করেছে এই ‘জাঙ্ক’। তার দৌলতে রাতারাতি প্রচারের আলোয় এসে মহাতারকার তকমা পেয়েছেন হোলি হর্ন।

কোনও ভিডিওতে হোলি জনপ্রিয় পপ সুরের সঙ্গে লিপ সিঙ্ক করেছেন। আবার কোথাও হয়তো তার তুরূপের তাস মজাদার নাচের ভঙ্গি। অনেকের কাছেই তার ভিডিও ছেলেমানুষি মনে হতে পারে।

কিন্তু বিনোদন দুনিয়ার বিশেষজ্ঞদের মতে, হোলি জানেন নির্দিষ্ট দর্শক তার কাছ থেকে ঠিক কী চান। ফলে তার জনপ্রিয়তায় ভাটার টান দেখা যায়নি। তার দর্শক ছড়িয়ে আছে ব্রিটেনের সীমার বাইরে আন্তর্জাতিক মহলে। ব্রিটেনের বড় বড় একাধিক ব্র্যান্ড প্রোমোশনাল গাঁটছড়া বেঁধেছে হোলির সঙ্গে।

সাধারণত টিকটক ভিডিওর বিষয় হয় মজাদার বা ব্যঙ্গাত্মক। দেখা হয়, যাতে এই ভিডিও দর্শক হাল্কা মনে দেখতে পারেন। বন্ধ করা না হলে লুপে একনাগাড়ে চলতেই থাকে টিকটক ভিডিও।

হোলির ধূমকেতুসম উত্থানে সবচেয়ে বেশি বিস্মিত তার মা জোডি হর্ন। মধ্যবয়সী জোডি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মেয়ের টিকটক ভিডিও তাৎর উদ্ভট বলে মনে হয়। তিনি ভেবেই পান না কেন বা কী করে এগুলো জনপ্রিয় হয়।

তবে জোডি অতশত ভাবতেও চান না। মেয়ের উপার্জন বেশি হচ্ছে, তিনি এতেই খুশি। তার কাছে শকিং লাগলেও তিনি মনে করেন, টিকটক ভিডিও এখন আকর্ষণীয় কেরিয়ার।

অভাবনীয় উত্থান পাল্টে দিয়েছে হোলির জীবনযাপনও। আগে তিনি থাকতেন সাদামাটা বাড়িতে। এখন তার ঠিকানা ওয়েস্ট সাসেক্সের চার কামরার বড় বাড়ি। বিজ্ঞাপনদাতা এবং বিজ্ঞাপনের এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে তিনি চলে এসেছেন লন্ডনের কাছে।

পরিসংখ্যান বলছে, হোলির ভক্তদের মধ্যে ৮০ শতাংশ মেয়ে এবং ২০ শতাংশ ছেলে। তারা হোলির পারফরম্যান্স দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন। তাদের জন্য হোলি যেখানে যান, জনজোয়ারে ভেসে যান। মবড হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে একদল নিরাপত্তারক্ষী বাড়ির বাইরে হোলির সর্বক্ষণের সঙ্গী।