ঢাকা, বুধবার ২৪, এপ্রিল ২০২৪ ৯:৪২:১৮ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

যশোরে মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের হলুদ আভা

বাসস

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:৫৭ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

যশোরে মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের হলুদ আভা

যশোরে মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের হলুদ আভা

যশোর জেলার আট উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ ছেঁয়ে গেছে সরিষার হলুদ ফুলে। নয়ন জোড়ানো সরিষার ফুল এখন প্রকৃতির মাঝে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় সরিষা চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন জেলার চাষিরা। যে কারণে গত মওসুমের চেয়ে এবছর ৪ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।

আমন ধান কেটে একই জমিতে সরিষা চাষ করে লাভের আশা করছেন কৃষকরা। সরিষা ফুলে মৌমাছির আনাগোনা এক অন্যরকম পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে মৌচাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উঁচু ভূমির এ জেলা সরিষা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। জেলার ৮ উপজেলায় চলতি মওসুমে ১৩ হাজার ৬শ’৪০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। গত বছর এ জেলায় সরিষার চাষ হয়েছিল ৮ হাজার হেক্টর জমিতে। এ জেলায় বারি সরিষা-১৪,১৫, সোনালী সরিষা-৭৫ ও উফশী টরি-৭ জাতের সরিষার চাষ হয়েছে। সদর ও বাঘারপাড়া উপজেলার অংশ মিলে জলেশ্বর বিলের অবস্থান। বিলটিতে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ সরিষার আবাদ হয়েছে।

বাঘারপাড়া উপজেলার হাবুল্যা গ্রামের কৃষক এখলাজ হোসেন জানান, তিনি প্রায় তিন বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছেন।ফলনও ভালো হয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক দুূর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।

একই এলাকার কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন,সরিষা আবাদে খরচ কম ও লাভ বেশি। এক মণ সরিষার দাম ২ হাজার টাকা। সরিষার মান সম্মত তেলের চাহিদাও বাড়ছে। তাছাড়া অব্যাহত ধান আবাদে জমির উর্বরতা কমে যায়। সরিষা আবাদে জমিতে সরিষার পাতা পড়ে তা পচার পর জমির উর্বরতা বাড়ে। এসব কারণে কৃষকরা সরিষার চাষে ঝুঁকে পড়ছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা বিরেন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন,সরিষার আবাদ বাড়াতে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।রোপণের আড়াই থেকে পৌনে তিন মাসের মাথায় সরিষা তোলা যায় বলে তিনি জানান।

যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এমদাদ হোসেন শেখ জানান, সরিষার ফলন বৃদ্ধিতে এবং এ ফসল চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে ভালো মানের বীজ দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, সরিষা কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মওসুমে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।