পিইসিতে বহিষ্কৃতদের পরীক্ষা পুনরায় নেয়ার নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:০৬ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ বুধবার
ছবি: সংগৃহীত
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) বহিষ্কার করা শিক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষার নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণার নির্দেশ দেয় আদালত।
এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য না জানানোয় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আদালত। একই সাথে ৮ জানুয়ারি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) তলব করেছেন হাইকোর্ট। ওইদিন এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথি দিয়ে তাকে আদালতে হাজির হতে হবে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন- জামিউল হক ফয়সাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর পিইসি পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। এই নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘শৃংখলা লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা’ নেয়ার বিধান করা হয়। এই বিধানের ক্ষমতাবলে গত পিইসি পরীক্ষায় ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫ জন ক্ষুদে শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এই নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে গত ১৯ নভেম্বর ‘পিইসি পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল, এম মাহমুদুল হাসান, গাজী ফরহাদ রেজা ও মো. ফয়জুল্লাহ ফয়েজ।
পরে জামিউল হক ফয়সাল আদালতে বলেছিলেন, যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে তাদের বয়স ১০ বা ১১ বছর। এই বয়সের একজন শিশুকে বহিষ্কার করা হলে তার মানসিকতার ওপর প্রভাব ফেলবে। এরপর আদালত ২১ নভেম্বর স্বপ্রণোদিতভাবে রুল জারি করেন।
রুলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
১০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ৪ জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
-জেডসি
