ঢাকা, শনিবার ২০, ডিসেম্বর ২০২৫ ৩:১০:১৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শমীর মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন ২০ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:০৯ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণের ঘটনায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এই দিন ধার্য ছিন। মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এই জন্য ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এই দিন ধার্য করেন।

এর আগে, ২৫ নভেম্বর শমী কায়সারের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মানহানি মামলার পুনঃতদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এদিন মামলার বাদী স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাচান পুলিশের দেয়া প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেন। নারাজি শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনঃতদেন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।

মামলার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে ঢাকা মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান। প্রতিবদনে তিনি উল্লেখ করেন, শমী কায়সারের বক্তব্যে কোনো মানহানিকর ঘটনা ঘটেনি। মামলার বাদী এ বিষয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। এদিন মামলার বাদী প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেবেন বলে আদালতে সময় প্রার্থনা করলে বিচারক নারাজি দেয়ার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

৩০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেন স্টুডেন্টস জার্নাল বিডির সম্পাদক মিঞা মো. নুজহাতুল হাচান। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রমনা থানার পরিদর্শককে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২৪ এপ্রিল রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটনবিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষ করে কেককাটার সময়ই হঠাৎ করে তিনি জানান, তার স্মার্টফোন দুটি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ফোন দুটিতে কল দিয়ে তখনও সচল পাচ্ছিলেন। পরে শমী কায়সারের এমন মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গেই মিলনায়তনের মূল প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় তার নিরাপত্তাকর্মী সবার দেহ তল্লাশি করতে চাইলে তাতে সম্মতি জানান উপস্থিত সংবাদকর্মীরা।

তল্লাশির সময় অনেকে বের হতে চাইলে শমী কায়সার সাংবাদিকদের ‘চোর’ বলে ওঠেন। এতে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে আসা সাংবাদিকরা। এ ঘটনায় অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডাও হয় সাংবাদিকদের। কিন্তু সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দুটি নিয়ে গেছেন। এরপর ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখে সাংবাদিকদের প্রতি ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন শমী কায়সার।

এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শমী কায়সারকে নিয়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। নানা বয়স ও পেশার মানুষেরা সাংবাদিকদের প্রতি শমী কায়সারের এমন আচরণ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেন। শমীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা মানহানির মামলা করেন সাংবাদিক নুজহাতুল হাচান।

-জেডসি