ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ধর্ষকের নাম মজনু
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:৩৩ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার
ঢাবি শিক্ষার্থীর ধর্ষকের নাম মজনু
রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তার নাম মজনু। তাকেই ‘ধর্ষক বলে শনাক্ত’ করেছেন ঢাবির ওই ছাত্রী।
আজ বুধবার সকালে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম জানান, র্যাব সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী, ধর্ষকের চেহারার একটি ‘স্বচ্ছ ধারণা’ পাওয়া গেছে। সেই ভিত্তিতেই এই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পরে সেই যুবকের ছবি তুলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে দেখানো হয়। তখন তিনি তাকে ধর্ষক বলে শনাক্ত করেছেন বলে জানান মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক।
ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষকের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির মতো। গায়ের রং শ্যামলা, গড়ন মাঝারি। পরনে জিনসের পুরোনো ফুলপ্যান্ট ও ময়লা কালচে ফুলহাতা জ্যাকেট, পায়ে স্যান্ডেল এবং মাথার চুল ছোট করে ছাঁটা। এ সকল বর্ণনা মজনুর সঙ্গে মিলে গেছে।
জানা গেছে, মজনু ভবঘুরে প্রকৃতির। পাশাপাশি সে নানা ধরনের কাজ করে। মজনু মাদকাসক্ত বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সদস্য জানিয়েছিলেন, ধর্ষণকারীর বিষয়ে ছাত্রীর দেওয়া বিবরণ এবং ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে একাধিক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে তারা চিহ্নিত করেছেন। তারা নজরদারিতে আছেন।
গত রোববার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার হন ঢাবির ওই ছাত্রী। তার দেওয়া চেহারার বর্ণনা অনুযায়ী, ধর্ষকের একটি স্কেচ আঁকা হয়। সেই স্কেচ ধরে অনুসন্ধানে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ছাড়া ঘটনাস্থলের আশপাশের কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজও বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাস স্টপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে রাস্তার পাশে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে তার চিকিৎসা চলছে।
