কনকনে ঠাণ্ডার সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আভাস
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:১২ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার
ছবি: সংগৃহীত
দেশের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পৌষের শেষ দিকে ঘোর শীত মৌসুমের বর্তমান সময়ের স্বাভাবিকের তুলনায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বেশি বা ‘ঈষৎ উষ্ণ’ রয়েছে। এর অন্যতম কারণ মেঘলা আকাশ।
উত্তরের হিমেল কনকনে হাওয়া, কমবেশি কুয়াশাপাত এবং রোদের তেজ কমে যাওয়া- এই তিন কারণে শীতকষ্টে ভুগছে মানুষ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ঢাকা অঞ্চলে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা শীতল বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন স্থানে হালকা কিংবা গুঁড়ি গুঁড়ি বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ঝরেছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় রাজশাহী বিভাগের ঈশ্বরদীতে ৪ মিলিমিটার। এ সময় গোপালগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে ৩ মি.মি. করে, খুলনা, সৈয়দপুর, তাড়াশ, শ্রীমঙ্গলে ২ মি.মি. করে এবং রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, কুমারখালী, নিকলি, ময়মনসিংহ, কুমিল্লায় ১ মি.মি. করে বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর রাজধানী ঢাকা, সিলেট, যশোর ও কয়েক জায়গায় ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি ঝরে। তবে এ সময় বরিশাল বিভাগে বৃষ্টিপাত হয়নি।
আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী কুয়াশা পড়তে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
বর্তমানে উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের একটি বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার এবং এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় শীতের বলয় বা মূল কেন্দ্রটি বাংলাদেশ থেকে আপাতত বেশ দূরত্বে অবস্থান করছে।
-জেডসি