ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ৮:৫৭:৩৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

এবার ধামরাইয়ে বাসে ধর্ষণের পর হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২৮ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০২০ রবিবার

এবার ধামরাইয়ে বাসে ধর্ষণের পর হত্যা

এবার ধামরাইয়ে বাসে ধর্ষণের পর হত্যা

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় মমতাজ বেগম (২৫) নামে এক পোশাক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। মমতাজকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনায় জড়িত বাসচালক ফিরোজ ওরফে সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মমতাজের গ্রামের বাড়ি উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের শাজাহান খানের মেয়ে এবং ডাউটিয়া পথিক সিরামিকস কারখানায় কর্মরত ছিলেন। ঘাতক সোহেল রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার গালফুলা গ্রামের আমানত মিয়ার ছেলে মমতাজের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, গত শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে কাঁঠালিয়া গ্রাম থেকে পথিক সিরামিকস কারখানার শ্রমিক পরিবহনের বাসে মমতাজকে উঠিয়ে দেন তার মা। অন্য শ্রমিকদের ওঠানোর জন্য গাড়িটি বালিয়ার দিকে যাচ্ছিল। কিছুদূর যাওয়ার পর মমতাজকে বাসে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন চালক সোহেল। চিৎকার করলে মমতাজের গলা তারই ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে ধরে তিনি।

বাঁচার জন্য সোহেলের আঙুল কামড় দিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন মমতাজ। এর পরও দমেননি সোহেল। মমতাজকে হত্যা করে লাশ হিজলিখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে ফয়েজ উদ্দিনের একটি পরিত্যক্ত ঘরে ফেলে রেখে অন্য শ্রমিকদের নিয়ে কারখানায় চলে যান সোহেল।

ডিউটি শেষে মমতাজ বাড়ি না ফেরায় রাতেই তার ভাই আলমগীর বাদী হয়ে ধামরাই থানায় জিডি করেন। পরে স্বজন ও স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার লাশ একটি পরিত্যক্ত ঘরে পান। রাতেই পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং সোহেলকে আটক করা হয়।

মমতাজের ভাই আলমগীর হোসেন বলেন, আমি আমার বোন হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।