ঢাকা, শনিবার ০৪, মে ২০২৪ ১৫:৩৬:৩২ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ভারতের নাগরিকত্ব আইনের প্রয়োজন ছিল না: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ১৯ জানুয়ারি ২০২০ রবিবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

নাগরিকত্ব আইন সংশোধন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও এর কোনো প্রয়োজন ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে গাল্ফ নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদপত্রটির অনলাইন সংস্করণে শনিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে। সাক্ষাৎকারে সিএএ সহ রোহিঙ্গা ইস্যু, ভারত থেকে পাল্টা অভিবাসন, কয়লা শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে সিএএ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বুঝতে পারছি না, কেন এটা করা হল। এর কোনো প্রয়োজন ছিল না। বাংলাদেশে ১ কোটি ৬০ লাখ হিন্দু (মোট জনসংখ্যার ১০.৭ শতাংশ) থাকার তথ্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশিদের ভারতে পাড়ি দেওয়ার বিষয়টিও নাকচ করেন।

নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের পর ভারত থেকেও বাংলাদেশে কেউ আসছে না জানালেও তিনি বলেন, তবে ভারতের মধ্যেই মানুষকে অনেক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। এনিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এটাই বলে আসছে যে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন কিংবা নাগরিকপঞ্জি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারত সরকারও বলে আসছে।

এসময় গত বছরের অক্টোবরে নয়া দিল্লি সফরের সময়ও নরেন্দ্র মোদি আশ্বস্ত করেছেন যে এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এখন সর্বোচ্চ মাত্রায় আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এটা নানা ক্ষেত্রে আরও প্রসারিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনার মতে, ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। বিস্তৃত ঘরানার খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বজায় রয়েছে। তবে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের নিয়ে তিনি কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সংকট উদ্ভূত হয়েছিল মিয়ানমারে। এর সমাধানও তাদের ওপরই নির্ভরশীল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মিয়ানমার নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের প্রধান উদ্বেগগুলো নিয়ে কোনো অর্থবহ উদ্যোগ নিচ্ছে না। দুটি প্রত্যাবাসন উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে, কারণ একজন রোহিঙ্গাও স্বেচ্ছাকৃতভাবে ফেরত যেতে চায় না। এতে প্রমাণ হয় যে, মিয়ানমার প্রত্যাবসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের অবসান না হলে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দেবে। বাংলাদেশ কয়লা বিদ্যুতের দিকে মনোযোগ বাড়ালেও এক্ষেত্রে পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।

সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কটের অবসান না হলে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দেবে। বাংলাদেশ কয়লা বিদ্যুতের দিকে মনোযোগ বাড়ালেও এক্ষেত্রে পরিবেশের সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ এতদিন গ্যাসের উপর নির্ভর করত। কিন্তু গ্যাস ফুরিয়ে আসায় উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে এখন কয়লাসহ অন্য উৎসের দিকে নজর দিতে হচ্ছে।

বিশাল জনসংখ্যার দেশে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর চাপ বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরেই সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কীভাবে উন্নয়ন করে যাচ্ছেন, তাও গালফ নিউজকে তুলে ধরেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

-জেডসি