স্ত্রী-শাশুড়িসহ চারজনকে হত্যার ঘটনায় দুই মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০১:১৫ পিএম, ২০ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার
ছবি: সংগৃহীত
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় স্ত্রী, শাশুড়ি ও দুই প্রতিবেশীকে কুপিয়ে হত্যার পর ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। রবিবার রাতে বড়লেখা থানায় একটি হত্যা ও একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। বড়লেখা থানার ওসি ইয়াসিনুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাল্লাতল চা বাগান শ্রমিক পঞ্চায়েতের সভাপতি কার্তিক কর্মকার বলেন, নির্মল কর্মকার দুই বছর অন্য এলাকা থেকে এখানে আসেন।
বড়লেখা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জসীম বলেন, ‘রবিবার দুপুর ২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না পুলিশ তা অনুসন্ধান করছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী পাল্লাতল চা বাগানের বাজার টিলার বাসিন্দা বিষ্ণু বক্তার মেয়ে বাগান শ্রমিক জলি বক্তাকে (২৮) ছয় মাস আগে বিয়ে করেন নির্মল কর্মকার। জলির আগের স্বামীর ঘরের চন্দনা নামে আট বছরের এক মেয়েও তাদের সঙ্গে থাকতো। রবিবার ভোরে নির্মল ও জলির মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে নির্মল ধারালো দা দিয়ে জলিকে কোপাতে শুরু করলে তিনি দৌড়ে মা লক্ষ্মী ব্যানার্জির (৪৭) ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেন।
নির্মল সেখানে ঢুকে জলি, তার মা লক্ষ্মী ব্যানার্জি, ভাই বসন্ত বক্তা ও ভাইয়ের স্ত্রী কানন বক্তা এবং তাদের মেয়ে শিউলি বক্তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়।
এরপর নির্মল কর্মকার দা দিয়ে নিজের গলায় কোপাতে কোপাতে বসন্তের ঘরে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে স্থানীয়রা এসে গুরুতর আহত কানন বক্তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে নিহত জলির সাবেক স্বামীর ঘরের মেয়ে চন্দনা ঝগড়া শুরুর পরই পালিয়ে যাওয়ায় নির্মলের হাত থেকে রক্ষা পায়।
-জেডসি