রাখাইনে দুই রোহিঙ্গা নারীকে হত্যা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৪:০৪ পিএম, ২৫ জানুয়ারি ২০২০ শনিবার
ছবি: ইন্টারনেট
রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চারটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। এতে রোহিঙ্গা হত্যা বন্ধের কড়া নির্দেশ দেয়া হয়।
কিন্তু ওই নির্দেশের মাত্র দুই দিনের মাথায় তা অমান্য করেছে মিয়ানমার। শনিবার কোনো ধরনের সংঘাত বা উসকানি ছাড়াই নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর কামান হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এতে এক গর্ভবতীসহ দুই নারী নিহত এবং আরও অন্তত সাতজন আহত হয়েছে।খবর রয়টার্সের।
উত্তর রাখাইন স্টেটের বুথিডাং টাউনশিপের সাংসদ মাং কেউ জান রয়টার্সকে বলেন, একটি ব্যাটেলিয়ন থেকে সেনা সদস্যরা কিন টাং গ্রামে গোলাবর্ষণ করে। সেখানে কোনো যুদ্ধ হয়নি, কোনো যুদ্ধ ছাড়ায় তারা গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে। চলতি বছরে এটি দ্বিতীয় ঘটনা।
তবে, মিয়ানমার সেনাবাহিনী বিনা কারণে হত্যার দায় অস্বীকার করে বলেছে, বিদ্রোহীরা একটি সেতুতে হামলা চালিয়েছিল। আর সে কারণেই গোলা ছোড়া হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালত-আইসিজে অন্তর্বর্তী এক রায়ে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেয়াসহ চারটি আদেশ দেয় মিয়ানমারকে।
আইসিজের আদেশে বলা হয়, জাতিসংঘ কনভেনশন অনুযায়ী মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দিতে হবে; গণহত্যার প্রমাণ ধ্বংস করা যাবে না; সশস্ত্র বাহিনী পুনরায় কোনো গণহত্যা ঘটাতে পারবে না এবং প্রতি চার মাস পরপর মিয়ানমারকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে হবে যতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় প্রকাশিত হয়।
রায়ের পর তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখালেও একদিন পর শুক্রবার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ওই রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দেশটির গণমাধ্যমে খবর আসে।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর কয়েকটি চেকপোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের নামে সেখানে রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণ এবং তাদের বাড়ি-ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে লাখ লাখ রোহিঙ্গা।
-জেডসি