ঢাকা, শনিবার ০৪, মে ২০২৪ ৪:১৬:৩৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

ভোলার চরাঞ্চলে বাড়ছে ক্যাপসিকামের চাষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:০৮ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভোলার চরাঞ্চলগুলোতে মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে ক্যাপসিকামের চাষ। এ সবজি চাষ করে ভাগ্য বদলেছে অনেক চাষির। কম খরচ ও শ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। গত বছরের তুলনায় এই বছর চাষ হয়েছে দ্বিগুণ। সরকারি সহযোগিতা পেলে এ চাষে বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।

কৃষকরা জানান, ভোলা সদরের মাঝের চরে প্রায় ৬ থেকে ৭ বছর আগে কাচিয়া ইউনিয়নের মনির পাঠান নামে এক ব্যক্তি ১০ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেন। তাতে সফলতাও পান। পরের বছরই তিনি বড় পরিসরে চাষ শুরু করেন। তার দেখাদেখি অন্য চাষিরাও আগ্রহী হন। ভোলার মাঝের চরে বর্তমানে ১৫০ থেকে ২০০ জন চাষি ক্যাপসিকাম চাষ করছেন। এ বছরও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ব্যাপক ফলন হয়েছে। আর পাইকারি বাজারেও ভালো দাম পাচ্ছেন বলে তারা জানিয়েছেন।

চাষি মো. আবদুর রহমান, মো. সিদ্দিক, হাসেম কেরানী জানান, আগে ভোলার এ চরে ২৫ থেকে ৩০ জন এর চাষ করতেন। এখন ১৫০ থেকে ২০০ জন রয়েছেন। দিন দিন চাষির সংখ্যা বাড়ছে। কারণ এটি লাভজনক একটি ফসল।

হাসেম ব্যাপারী জানান, পাইকারি বাজারে এর চাহিদা অনেক। প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এটি রফতানি হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, এ বছর জেলায় ক্যাপসিকাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হেক্টর। আবাদ হয়েছে প্রায় ৪০ হেক্টর। এর মধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ১৫ হেক্টর ও দৌলতখান উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ হয়েছে।

ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, ‘এ বছর ক্ষেতে কোনও ধরনের পোকার আক্রমণ নেই। তাই চাষিরা আগের চেয়ে অনেক লাভবান হবেন। ক্যাপসিকাম চাষ করে অনেকেই তাদের ভাগ্য বদল করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মৌসুমে জেলায় ক্যাপসিকাম চাষ একশ’ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে।

-জেডসি