ঢাকা, সোমবার ০৬, মে ২০২৪ ১৩:১১:৫৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:১০ এএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

চীনে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখন পর্যন্ত ১৩২ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ছয় হাজার। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ আকার ধারণ করতে পারে। এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল হেল্থ কমিশন। তবে চীন ছাড়াও ১৮টি দেশের ৭৮ জন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

অপরদিকে, প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে গবেষণাগারে করোনাভাইরাস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। একে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন তারা।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর থেকে পাল্লা দিয়ে দেশটিতে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।

চীনের বিভিন্ন শহর ছাড়াও থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং তাইওয়ানে এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এ ভাইরাসের নাম দিয়েছে ২০১৯ নভেল করোনাভাইরাস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে চীনে সফর করেছেন এমন লোকজনের মাধ্যমেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। সে কারণে অনেক দেশই এ ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে চীন সফরে নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা এনেছে।

এদিকে, মরণঘাতী করোনাভাইরাসকে ‘শয়তান’ বলে আখ্যায়িত করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, এই ভাইরাসকে চীন নিশ্চিতভাবে পরাস্ত করতে পারবে। তবে চীনা প্রেসিডেন্টের এই আত্মবিশ্বাস সত্ত্বেও নতুন করোনাভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। পরিস্থিতি এতোটাই নাজুক যে, স্বায়ত্ত্বশাসিত হংকং জানিয়েছে, সাময়িকভাবে তারা মূল ভূখন্ড চীনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিচ্ছে। নিজেদের নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শহর উহানে বিমান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। এছাড়া ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া ও ব্রিটেন তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে।

নতুন করোনাভাইরাস থেকে বিদেশি ও চীনা নাগরিকদের কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া যায় তা নিয়ে বেইজিংয়ে আলোচনায় বসেছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানম ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে জিনপিং বলেছেন, এই ভাইরাসটি শয়তান এবং আমরা শয়তানকে লুকিয়ে থাকতে দিতে পারি না। চীন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে ভাইরাস থেকে প্রতিরক্ষায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অংশগ্রহণকে স্বাগত জানায়। ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে চীন জিততে পারবে বলে আত্মবিশ্বাসী।

-জেডসি