ঢাকা, রবিবার ২৮, এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৮:০৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

বিচার প্রত্যাশী মায়েদের জন্য মাতৃদুগ্ধ কর্ণার স্থাপন

বাসস

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:২৬ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার

বিচার প্রত্যাশী মায়েদের জন্য মাতৃদুগ্ধ কর্ণার স্থাপন

বিচার প্রত্যাশী মায়েদের জন্য মাতৃদুগ্ধ কর্ণার স্থাপন

সম্প্রতি উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে লক্ষ্মীপুর জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার বা মাতৃদুগ্ধ কর্ণার’ স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে বিচারপ্রত্যাশী মায়েদের উপকার হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আদালতে আগত মায়েরা বিশেষ এ কক্ষটি ব্যবহার করে নিরাপদে তাদের শিশুদের দুধ পান করাতে পারছেন। এ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আদালত সংশ্লিষ্ট সকলে।

সরেজমিনে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর জজ আদালত ভবনের নিচতলায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের বিশেষ একটি কক্ষে মাতৃদুগ্ধ কর্ণার রয়েছে। আদালতে বিচারপ্রত্যাশী মায়েরা বিশেষ এ কক্ষটি একান্তে তাদের শিশুর প্রয়োজন মতো ব্যবহার করছেন। এখানে নিরাপদে-নির্দ্বিধায় একজন মা তার শিশু সন্তানকে দুধ পান করান। বিশেষ এ কক্ষের ব্যবস্থা না থাকলে এমন সুযোগ হতো না।

জানা গেছে, এক সময় বিচারপ্রত্যাশী মায়েদের অনেকেই শিশু সন্তানদের বাড়িতে ঝুঁকির মধ্যে রেখে আদালতে হাজির হতেন। আবার অনেকে সন্তানকে সঙ্গে এনেও নিরাপদে দুধ পান করাতে পারতেন না। ফলে শিশু সন্তানের জন্য দুশ্চিন্তায় থাকতেন মা। তাই আদালতে আগত মা ও শিশুর অধিকার সংরক্ষণে মাতৃদুগ্ধ কর্ণার স্থাপন করা হয়েছে।

গত বছর ৩০ অক্টোবর মাতৃদুগ্ধ কর্ণারটি উদ্বোধন করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহেনূর। এসময় তিনি বলেছিলেন, ‘অত্যন্ত স্বল্প সময়ে ও স্বল্প খরচে এ মাতৃদুগ্ধ কর্ণার স্থাপনের মাধ্যমে এটি স্পষ্ট যে, সদিচ্ছা থাকলে দ্রুততম সময়েই উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুসারে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মাতৃদুগ্ধ কর্ণার স্থাপন করা সম্ভব।’ মাতৃদুগ্ধ কর্ণারটি স্থাপনে পৃষ্ঠপোষকতা করেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদা আক্তার।

উপকারভোগী মায়েরা জানান, মাতৃদুগ্ধ কর্ণার ব্যবহার করতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়না। প্রয়োজন মতো ব্যবহার করা যায়। এখানে নির্বিঘ্নে ও নিঃসংকোচে শিশুকে বুকের দুধ পান করানো যায়। ফলে শিশু সন্তানকে বাড়িতে রেখে আদালতে আসতে হচ্ছেনা।

জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ মুহম্মদ ফাহদ বিন-আমিন চৌধুরী বাসসকে জানান, অনেক দিন ধরেই তিনি লিগ্যাল এইড অফিসে আগত অসহায় বিচারপ্রার্থী মহিলাদের এ সমস্যাটি দেখছিলেন।

পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের রুল জারির পর লক্ষ্মীপুর জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজের অব্যবহিত নির্দেশে তিনি এ কর্ণার স্থাপনের উদ্যোগ নেন। প্রতিদিন আদালতে আগত অসংখ্য বিচারপ্রার্থী নারী ও শিশু এ কর্ণারের উপকার ভোগ করছে।

তিনি আরও জানান, জেলা জজ আদালতের উদ্যোগে এ কর্ণারকে একটি বড় বিশেষায়িত কক্ষে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা রয়েছে।