ঢাকা, বুধবার ০৮, মে ২০২৪ ৮:৩১:৩৩ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

১১ মাস মহাকাশে কাটিয়ে রেকর্ড নারী নভোচারীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৫:১৭ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার

নভোচারী ক্রিস্টিনা কোচ

নভোচারী ক্রিস্টিনা কোচ

রুশ নারী নভোচারী ক্রিস্টিনা কোচ। সম্প্রতি তিনি একটি বিশ্ব রেকর্ড করেছেন। টানা ৩২৮ দিন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে কাটিয়ে পৃথিবীতে ফিরেছেন তিনি। একটানা এতো দিন মহাকাশে থাকা প্রথম নারী ক্রিস্টিনা।

এর আগে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সবচেয়ে বেশি সময় ভেসে থাকার রেকর্ড ছিল মার্কিন নভোচর পেগি হুইটসনের। তিনি কাটিয়েছিলেন ২৮৯ দিন। তার চেয়ে অনেক বেশি দিন কাটিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন ক্রিস্টিনা।

ক্রিস্টিনা কোচ ও ইউরোপীয় মহাকাশ স্টেশন কমান্ডার লুকা পারমিতানো সোয়ুজ ক্যাপসুল মহাকাশযানে করে কাজাখস্তানের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে নামেন। আর্টেমিস প্রোগ্রামের আওতায় চাঁদে যাওয়ার এবং মঙ্গল গ্রহে মানব অনুসন্ধানের প্রস্তুতি নেওয়ার পরিকল্পনার জন্য নাসার এই গবেষণাটি গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে গবেষক দল।

ক্যাপসুল থেকে বেরিয়ে আসার পর চওড়া হাসি ও হাত উঁচিয়ে দলকে সম্মান জানান কোচ। তিনি জানান, তার গবেষক দলের সমর্থন ছাড়া এটি সম্ভব হতো না।

বছরের সিংহভাগ সময় অর্থাৎ ৩২৮ দিন ক্রিস্টিনা কাটিয়ে ফেলেছেন আইএসএসে (ISS)।  রাশিয়ার পাঠানো সোয়ুজ ক্যাপসুলে কাজাখস্তানের মাটি ছুঁয়ে আবেগে কেঁদে ফেলেন তিনি। বলেন, ‘আমি বিস্মিত, আনন্দিত।’

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকার অভিজ্ঞতা নিয়ে ক্রিস্টিনা বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে যেভাবে আকাশ দেখে এসেছি, তার ভিত্তিতে অনেক স্বপ্ন তৈরি হয়েছিল। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে এখান। আমার পূর্বসূরীদের দেখানো পথেই হেঁটেছি আমি।’

ক্রিস্টিনা কোচ মহাশূন্যে যে সময় ধরে ভেসে ছিলেন, তার মধ্যে ৫২৪৮ বার পৃথিবীর নিজের প্রদক্ষিণ এবং পৃথিবী থেকে চাঁদে ২৯১ বার যাতায়াত হয়ে যায়।

এ সময়ের মধ্যে শুধু মহাকাশচারী হিসেবে অভিজ্ঞতা অর্জনই নয়, ISS-এ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজও তাকে করতে হয়েছে। খারাপ হয়ে যাওয়া পাওয়ার কন্ট্রোল ইউনিট সারাই করেছেন তিনি। তার জন্য অন্তত ৭ ঘণ্টা মহাকাশ স্টেশনের বাইরে কাটাতে হয়েছে এই নারীকে। সেসময় অবশ্য সঙ্গী ছিলেন জেসিকা মেয়ার। তারাই প্রথম জুটি, যারা কোনও পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই সময় কাটিয়েছেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে।

সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ক্রিস্টিনা বলেন, ‘আমরা যখন শুনলাম যে স্টেশনের বাইরে গিয়ে কাজ করতে হবে, তখন ভয় ভয় করছিল। আমি আর জেসিকা হ্যান্ডরেল ধরে বেরতে গিয়ে শুধু পরস্পরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। সেটা আমাদের জীবনে এক বিশেষ সময় ছিল। সেদিনের অভিজ্ঞতা কখনও ভুলব না।’