ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৯:৪৭:২৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

করোনাভাইরাসের নতুন নাম ‘কোভিড-১৯’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:২৩ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

নোভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়ায় মৃত্যুমিছিল থামার কোনো লক্ষণ নেই। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মঙ্গলবার পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১ হাজার ১১৫ জন। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ।  চীনে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৬৫৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৮ হাজার ২১৬ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। এই অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর পক্ষ থেকে এই ভাইরাসের নতুন আনুষ্ঠানিক নাম কোভিড-১৯ ঘোষণা করেছে।  

জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাঢানম গেব্রেইসাস সাংবাদিকদের বলেছেন, এখন রোগটির একটি নতুন নাম রয়েছে আমাদের কাছে। সেটি হলো কোভিড-১৯। এটি ‘করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়ানোর পর এই ঘোষণা এলো। ডাক্তার গেব্রেইসাস বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আগ্রাসীভাবে এই নতুন ভাইরাসের মোকাবেলা করার জন্য।

করোনাভাইরাস শব্দটি রোগ সৃষ্টিকারী নতুন ভাইরাসটিকে উল্লেখ না করে ঐ গ্রুপের সব ভাইরাসকে ইঙ্গিত করে। ভাইরাসের নাম প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব ট্যাক্সনমি অব ভাইরাসেস এই ভাইরাসটিকে সার্স-সিওভি-২ হিসেবে পরিচিতি দিয়েছে। কোনো বিশেষ গ্রুপ অথবা দেশকে কেন্দ্র করে যেন ভীতি না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে ভাইরাসটির আনুষ্ঠানিক একটি নাম দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন গবেষকরা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, আমাদের এমন একটি নাম খুঁজতে হয়েছে, যেটি কোনো বিশেষ ভৌগলিক অঞ্চল, কোনো প্রাণী, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর দিকে ইঙ্গিত করে না, পাশাপাশি যা সহজে উচ্চারণযোগ্য এবং নতুন ভাইরাসটির সাথেও যার সম্পর্ক আছে। একটি নির্দিষ্ট নাম থাকলে ভুল বা অপবাদসূচক কোনো নাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা সম্ভব। ভবিষ্যতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটলেও একটি নাম থাকলে সেটিকে নির্দিষ্টভাবে ব্যবহার করা সম্ভব।

নতুন নামটি তৈরি করা হয়েছে ‘করোনা’, ‘ভাইরাস’ ও ‘রোগ’ শব্দগুলো থেকে। ২০১৯ দ্বারা রোগটির ছড়িয়ে পড়ার বছর বোঝানো হয়েছে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা নিয়ে আলোচনা করতে সারাবিশ্বের বিজ্ঞানীরা জেনেভায় বৈঠক করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ডাক্তার ঘেব্রেয়েসাস বলেন, এখনো যথেষ্ট পরিমাণ ব্যবস্থা নেয়া হলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। চীনের নেয়া পদক্ষেপ এই রোগকে ‘বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রেখেছে’ বলে মন্তব্য করে তাদের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন তিনি। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ সতর্ক করেছে যে চীনের অর্থনীতিতে টানাপোড়েনের প্রভাব সারাবিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।

সতর্কতা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, চীনের বাইরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাগুলি কয়েকটি আগুনের ফুলকি মনে হলেও তার থেকে বড় অগ্নিকাণ্ড হতে পারে। এই মহামারীকে কোনোভাবেই হাতের বাইরে যেতে দেয়া যাবে না।

-জেডসি