ঢাকা, শুক্রবার ১৯, এপ্রিল ২০২৪ ১০:৪৪:১৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

করোনা প্রতিরোধে সব ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:১০ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চীনে ভয়াবহ আকার ধারণ করা সংক্রামক ব্যাধি নোভেল করোনাভাইরাস নিউমোনিয়া প্রতিরোধে বাংলাদেশে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া যায়নি। আশা করি- এই ভাইরাস বাংলাদেশে আসবে না।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই সব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন করোনাভাইরাস চায়নাতে একটা মহামারি আকারে ছড়িয়ে গেছে। ইতোমধ্যে, এক হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে এবং সংক্রমিত হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজারের বেশি। আমরা আনন্দের সঙ্গে এটুকু বলতে পারি যে, বাংলাদেশে এখনো কোনো করোনাভাইরাসের রোগী আমরা পাইনি। করোনাভাইরাস যাতে দেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিক বিবেচনা করে আমরা সব ব্যবস্থা হাতে নিয়েছি।

তিনি বলেন, ঢাকায় তিনটি হাসপাতালকে আমরা তৈরি রেখেছি, যেখানে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রয়েছে। ডাক্তার নার্সদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রিটমেন্ট প্রটোকলও ব্যবস্থা করা হয়েছে একটি বুকলেটের মাধ্যমে। এই বুকলেটটি সকল সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

জাহিদ মালেক বলেন, কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে ২০ বেডের একটি আইসিইউ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আরও প্রায় ২০০ বেড রাখা হয়েছে একই হাসপাতালে। পুরো কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী যদি আসে, তাদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকল হাসপাতালেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ডেডিকেট করা হয়েছে কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালকে। আমরা আশা করি- এই রোগ আমাদের দেশে আসবে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা মোকাবেলায় ইতোমধ্যে এয়ারপোর্ট, ল্যান্ডপোর্টে স্কিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেগুলোকে দিন দিন আরো জোরদার করা হচ্ছে।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর উহান থেকে বাংলাদেশে ফেরাদের নিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, উহান প্রদেশ থেকে যে ৩১২ জন এসেছিল তাদের আশকোনা হজক্যাম্পে রাখা হয়েছে। ১৪-১৫ তারিখে তাদের রিলিজ করে দেয়া হবে। কারণ তাদের আইসোলেশন মেয়াদ তখন শেষ হবে। তবে খুশির বিষয় হলো- সেখানে আমরা এখনো কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্তকে পাইনি।

প্রসঙ্গত, মধ্য চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। এই ভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো।নভেল করোনাভাইরাসের কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। ফলে এমন কোনো চিকিৎসা এখনও মানুষের জানা নেই, যা এই রোগ ঠেকাতে পারে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে গত দেড় মাসে চীনে ১১ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার।

মহামারি আকার ধারণ করা এই ভাইরাস চীনের বাইরেও ছড়িয়েছে। প্রায় ২৭টির মতো দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। এমন অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবকে ‘বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেও করোনাভাইরাস নিয়ে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

-জেডসি