বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটের সিদ্ধান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০২:২৮ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার
ছবি: সংগৃহীত
সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন থাকলেও আজ থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসোলেশন ইউনিট করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআরের মিলনায়তনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান তিনি।
মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, ইতোমধ্যেই চীনের পর সিঙ্গাপুরের নজর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাই ওই সংস্থার বরাত দিয়ে তিনি জানান, সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত দুই বাংলাদেশি সংস্পর্শে যারা ছিল, তাদের মধ্যে ২০ জনকে কেয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে, তাদের মধ্যে দশজন বাংলাদেশি রয়েছে।
তিনি বলেন, আগে বন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং কার্যক্রম চললেও মৈত্রী এক্সপ্রেসের যে সব যাত্রীরা ভারতে থেকে আসবেন নতুন করে তাদেরও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে স্ক্রিনিং করা হবে।
যেহেতু সিঙ্গাপুরে দুই বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাই ওই দেশ থেকে যারা এসেছেন, তারা ঘরের মধ্যে থাকার পরামর্শ ও দিয়েছে আইইডিসিআর।
বিশ্ব সংস্থার বরাত দিয়ে আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, ভেকসিন পেতে আঠারো মাসের মতো সময় লাগবে, তাই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছে তিনি।
এদিকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন করা লোকজনের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, হাসপাতালে থাকা ১১ জন এবং আশাকোনা কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে উহান ফেরত ৩০১ যাত্রী সুস্থ আছেন। ১৫ তারিখ পর উহান ফেরতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মধ্য চীনের উহান শহরে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। এই ভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো।নভেল করোনাভাইরাসের কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন এখনো তৈরি হয়নি। ফলে এমন কোনো চিকিৎসা এখনও মানুষের জানা নেই, যা এই রোগ ঠেকাতে পারে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে গত দেড় মাসে চীনে ১১ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার।
মহামারি আকার ধারণ করা এই ভাইরাস চীনের বাইরেও ছড়িয়েছে। প্রায় ২৭টির মতো দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। এমন অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবকে ‘বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের মানুষের মধ্যেও করোনাভাইরাস নিয়ে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
-জেডসি