ঢাকা, শুক্রবার ২৯, মার্চ ২০২৪ ১৫:৩২:০৩ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

মহাকাশ থেকে আসছে রহস্যময় সংকেত!

ডেস্ক রিপোর্ট

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:০১ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

মহাবিশ্বে পৃথিবী ছাড়াও আরো প্রাণের অস্বিত্ব আছে কিনা খুব দ্রুতই কি সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে যাচ্ছে মানুষ? অচিরেই কি অবসান ঘটতে চলেছে বিজ্ঞানীদের সেই কৌতূহলের? পৃথিবীতে যেমন মানুষের রাজত্ব, ঠিক তেমনি মহাকাশের অন্য কোনও গ্রহে কি রয়েছে আমাদের মত জীব? দীর্ঘদিন ধরে এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজে চলেছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।

তবে এখনও পর্যন্ত এর নির্দিষ্ট কোনো গ্রহণযোগ্য উত্তর মেলেনি। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাবলি বিজ্ঞানীদের মনে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইন্টেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্ট চাইম-এর আওতাধীন ফাস্ট রেডিও বার্স্ট বা এফআরবি প্রোজেক্টে সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেন, পৃথিবী থেকে ৫০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ক্রমাগত রেডিও সিগন্যালের ধারা আসছে। রহস্যজনক ওই সিগন্যাল প্রতি ১৬ দিন পরপর ফিরে ফিরে আসছে।

২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এই নির্দিষ্ট ধারা লক্ষ্য করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, মহাকাশ ভেদ করে মিলিসেকেন্ড দৈর্ঘ্যের রেডিও তরঙ্গ ঢেউ ধেয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা আরও জানান, তরঙ্গগুলি একটানা চারদিন আসছে। তারপর আবার ১২ দিনের বিরতি দিয়ে পুরো প্রক্রিয়াটি পুনরায় শুরু হচ্ছে। এই ঘটনা বিশ্বের বড় বড় সব মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কৌতুহলের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।

সাধারণত, একক রেডিও বার্স্ট বা তরঙ্গ একবারই আসে। তা বারবার হয় না। কিন্তু এই রেডিও তরঙ্গের মূল বৈশিষ্টই হলো উচ্চশক্তিসম্পন্ন ছোট আকারের রেডিও তরঙ্গের সিগনাল  একাধিকবার পাঠানো। আর যখন সেগুলি বারবার ফিরে আসে, তখন একটি ক্লাস্টার বা তরঙ্গের ঝাঁকের মতো এবং স্পোরাডিক বা এলোমেলো ও প্রচন্ড বিক্ষিপ্ত আকার ধারণ করে।  

ওই আলোর তরঙ্গের উৎস কোথায় তার খোঁজ করতে বহু চেষ্টা চালিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত প্রত্যেকটি তরঙ্গ একেকটি নতুন জায়গার সন্ধান দিচ্ছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, প্রথম তরঙ্গটি যেখান থেকে এসেছিল, সেই ‘এফআরবি ১২১১০২’- এর ঠিকানা ছিল একটি ছোট ছায়াপথ। ওই ছায়াপথে নক্ষত্র ও ধাতব বস্তু রয়েছে। আবার, ‘এফআরবি ১৮০৯১৬’ -এর ঠিকানা মহাকাশের চক্রাকৃতির কোনো মিল্কিওয়ে বা ছায়াপথ।

তবে বিজ্ঞানীদের ধারণা, কোনও একটি ছায়াপথের বাইরে একটি নক্ষত্র বা কোনও বস্তু তার কক্ষপথে দ্রুতগতিতে চক্কর খাচ্ছে। আর সেখান থেকেই এ ধরনের তরঙ্গ নিক্ষিপ্ত হচ্ছে পৃথিবীর দিকে।

-জেডসি