ঢাকা, বুধবার ২৪, এপ্রিল ২০২৪ ১:০৪:১৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

নারীর চুল কেটে শরীর ঝলসে দিলেন ১৬ মামলার আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:১০ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রবিবার

আটক মোস্তাক আহেমদ ফয়সাল (বাঁয়ে) ও ভুক্তভোগী খোশ নাহার আক্তার। ছবি : সংগৃহীত

আটক মোস্তাক আহেমদ ফয়সাল (বাঁয়ে) ও ভুক্তভোগী খোশ নাহার আক্তার। ছবি : সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খোশ নাহার আক্তার (৩৫) নামে এক নারীকে ঘণ্টাব্যাপী নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে মোস্তাক আহেমদ ফয়সাল (৩৬) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ সময় তার শরীরে লোহা গরম করে ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তার মাথার চুলও কেটে দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে শহরের কাউতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মোস্তাক আহেমদ ফয়সাল ১৬টি মামলার আসামি। ভুক্তভোগী ওই নারী পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মনগর ইউনিয়নের শিয়ালহুড়ী গ্রামের মৃত সোনাব আলীর মেয়ে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়সালকে আটক করেছে পুলিশ।
 
নির্যাতনের শিকার খোশ নাহার বলেন, ‘ফয়সালের গ্রামের বাড়ি আর আমার বাড়ি পাশাপাশি। সেখান থেকে তার সঙ্গে আমার পরিচয়। অনেক কু-কর্মের কারণে তার পরিবারকে গ্রামছাড়া করে দিয়েছে এলাকাবাসী। গতকাল দুপুরে সে তার মোবাইল থেকে ফোন করে আমাকে জানায়, তার বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে। বিষয়টি সুরাহার জন্য সহযোগিতা চেয়ে বাসায় আসতে বলে। তারপর আমি বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হোটেল উজান ভাটির সামনে অবস্থান করি। সে এসে আমাকে গাড়িতে তুলে তার কাউতলীর ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। তারপর আমার হাত-পা বেঁধে দেয়।’

ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, ভাইয়ের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকাও এনে দেন। এ সময় ফয়সাল তার কাছে থেকে নগদ চার হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন সেট নিয়ে নেয়। খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। আরও টাকার জন্য শুরু করা হয় নির্যাতন। তার সঙ্গে কয়েকজন মিলে মারধর করতে শুরু করে।

খোশ নাহার বলেন, ‘পরে আমার হাত, পা ও গলায় লোহা দিয়ে গরম ছ্যাঁকা দিতে শুরু করে। কয়েকজন চেপে ধরে আমার মাথার চুলও কেটে দেয়। এক পর্যায়ে তারা ৯৯৯ নম্বরে কল করে শিশু অপহরণকারী আটক করা হয়েছে বলে পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।’
 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোতালেব বলেন, ‘আমরা ৯৯৯ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আহত অবস্থায় ওই নারীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। অভিযুক্ত মোস্তাক আহমেদ ফয়সালকেও আটক করে থানায় নিয়ে আসি।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ফয়সালের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর থানায় হত্যা, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অস্ত্রসহ ১৬টি মামলা রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’