ঢাকা, শনিবার ০৪, মে ২০২৪ ২:৩১:৩৬ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

টানা ৩ দিন বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা, বাড়ছে রোগব্যাধি

ডেস্ক রিপোর্ট

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৩:৩৩ পিএম, ১ মার্চ ২০২০ রবিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বায়ু দূষণমাত্রা এখন বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে- এমন খবর চলতি শুষ্ক মৌসুমে প্রায়ই দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়ে প্রকাশ পেয়েছে। তবে আতঙ্কের খবর হচ্ছে- গত বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার টানা তিন দিন ধরে বায়ুদূষণের শীর্ষে ছিল ঢাকার বাতাস।

বিশ্বের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার ভিজুয়ালের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটোর ও পাকিস্তানের করাচি শহরের পর তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছিল রাজধানী ঢাকা।  

অব্যাহতভাবে ঢাকার বায়ু মারাত্মক মাত্রায় দূষিত থাকার কারণে শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন রোগে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন রাজধানীর নাগরিকরা।

হাসপাতাল সূত্রে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, গত ১ নভেম্বর থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত-এ চার মাসে ৯৮ হাজার ৬৫ রোগী শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা নিয়েছেন এবং ২২ জন মারা গেছেন। এছাড়া, নানা সংক্রমণ নিয়ে জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চলতি বছর ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটেছে ২০ শতাংশ।খবর পার্সটুডে

পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক বর্তমানে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের বিশেষজ্ঞ সদস্য আবদুস সোবহান জানান, বায়ুদূষণের ফলে শুধু শিশু নয় রাজধানীতে বসবাসকারী সব বয়েসী মানুষই বিশেষকরে শ্বাসতন্ত্রের অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন বেশী মাত্রায়।  

আবদুস সোবহান ঢাকার বায়ূ দূষণের জন্য উন্নয়নের নামে নিয়মিত রাস্তা-ফুটপাত খনন, নিরবচ্ছিন্নভাবে চলমান নির্মাণকাজ এবং গাছপালা কেটে সাফ করে দেবার কারণকে বিশেষভাবে দায়ী করেছেন। পরিবেশের উন্নতির জন্য রাজধানীতে পর্যাপ্ত সংখ্যক গাছ-পালা ও সবুজের বেষ্টনী তৈরির উপর গুরুত্ব আরোপ করেন এই পরিবেশ বিশারদ।

এদিকে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, রাজধানীতে পরিবেশ ব্যাপকভাবে দূষণের ফলে মানুষের মধ্যে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি বেড়ে গেছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর মাত্রার বায়ূ দূষণের কারণে ফুসফুসকেন্দ্রিক নানা রোগ বিস্তার ছাড়াও হৃদরোগ, শ্বাসজনিত হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্যান্সার ও জেনেটিক পরিবর্তনজনিত নানা অজানা রোগে আরো বেশি বেশি মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। ব্যক্তি ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এর দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি আরো ভয়াবহ।

-জেডসি