বড়পুকুরিয়া থেকে ৭০০ কোটি টাকার কয়লা লোপাট: ক্যাব
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৪:৪৮ পিএম, ৩ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার
ছবি: সংগৃহীত
বড়পুকুরিয়া খনি থেকে ৫ লাখ ৪৮ হাজার টন কয়লা চুরি হয়েছে, এর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বলে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সকালে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবের অনুসন্ধান গবেষণা কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, চুক্তির চেয়ে প্রতি টনে সাড়ে ৫ শতাংশ বেশি পানি কয়লার দামে কিনেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বড়পুকুরিয়ার কয়লা চুরির দায় কেবল খনি কর্তৃপক্ষ নয়, পরিচালনা বোর্ড, শেয়ার হোল্ডার, পেট্রোবাংলা ও জ্বালানি বিভাগেরও।
কমিটি জানায়, খনিতে এক দশমিক ৪৪ লাখ মেট্রিক টন কয়লা চুরির অভিযোগে মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু মামলা চলাকালীন অভিযুক্তদের দায়মুক্তি দিতে জ্বালানি বিভাগ চুরি যাওয়া কয়লাকে সিস্টেম লস হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছে। এমন এক পরিস্থিতিতে এই তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হলো।
সম্মেলনে তদন্ত কমিটির প্রধান সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, বড় পুকুরিয়ায় যে ঘটনা ঘটেছে, তাকে দুর্নীতি বললে কম বলা হবে। এটি আসলে পুকুরচুরি ছাড়া আর কিছু নয়। যে কাজটি করা উচিত ছিল জ্বালানি বিভাগের, সেটি নাগরিকদের পক্ষ থেকে করা হয়েছে। এখন সরকারের উচিত এই দুর্বৃত্তদের ছাড় না দেওয়া। গোজামিল দিয়ে মানুষকে বুঝ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। জাতীয় সম্পদ যারা চুরি করে, আর যারা এর বিচার করেন না, সেটাও বড় অন্যায়।
সম্মেলনে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ও তদন্ত কমিটির সদস্য শামসুল আলম বলেন, এর আগেও ৩০০ টন কয়লা চুরির একটি ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাটিও একইভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। মামলার বিচারিক প্রক্রিয়ার সময় চলা প্রশাসনিক তৎপরতার কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও তদন্ত কমিটির সদস্য বদরুল ইমাম বলেন, পেট্রোবাংলার প্রস্তাব মতে, কয়লা সরবরাহের সিস্টেম লস ১ দশমিক ৫ শতাংশ ধরে নিলেও আত্মসাতের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ লাখ ৪৮ হাজার মেট্রিক টন।
সাংবাদিক সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- অধ্যাপক এমএম আকাশ, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন ও প্রফেসর সুশান্ত কুমার দাস।
কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অভিযোগ অনুসন্ধান ও গবেষণা কমিশন এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে এই চুরি নিয়ে সংবাদ প্রচার করেছিল বাংলাদেশের এক বেসরকারি টেলিভিশন। এরপরই তদন্তে নামে ক্যাব।
-জেডসি