৩০ লাখ টাকার ‘লোভে’ মেয়েকে হত্যার অনুমতি দেয় বাবা-মা
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:২৪ পিএম, ৯ মার্চ ২০২০ সোমবার
শিশু ইলমা। ফাইল ছবি
২০১৫ সালে নরসিংদী সদর উপজেলায় ১১ বছর বয়সী এক শিশুর বাবা-মা ও স্বজনরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে গলা কেটে হত্যা করে। নরসিংদীর বাহেরচরে চাঞ্চল্যকর ইলমা হত্যাকাণ্ডের পলাতক আসামি মাসুম মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর আজ সোমবার সিআইডি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায়।
নিহত ইলমা বেগম (১১) ছয় ভাই-বোনদের মধ্যে সবার ছোট ছিলো। বাহেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ইলমা খুন হন ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ।
সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপ-মহাপরিদর্শক ইমতিয়াজ আহমেদ প্রতিপক্ষকে ফাঁদে ফেলার উদ্দেশ্যে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে এই ভয়াবহ শিশু হত্যার কথা জানান।
আসামিদের একজনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে আহমেদ বলেন, এলাকায় মো. শাহজাহান ভূঁইয়া ও বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে দুটি গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল।
২০১৫ সালের ১ মার্চ শাহজাহানের বাড়িতে তার প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর পরিকল্পনার জন্য একটি বৈঠক হয়। যেখানে শাহজাহান ইলমার বাবা মোতালেবকে তার কনিষ্ঠ কন্যাকে হত্যার জন্য ৩০ লাখ টাকা অফার করেন।
অর্থের লোভে মোতালেব, তার স্ত্রী মঙ্গোলি বেগম এবং আত্মীয়-স্বজনরা শিশুটিকে হত্যা করার জন্য রাজি হয়ে যান।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ, ইলমা স্থানীয় একটি দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিল, এসময় ইলমার দুলা ভাই বাবলু ও ফুপাতো ভাই মাসুমের নেতৃত্বে সাতজনের একটি দল তাকে মাথায় আঘাত করে।
তারা ইলমাকে ইট দিয়ে আঘাত করে তার মুখটি ছিন্নভিন্ন করে এবং গলা কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মোতালেবকে ৩০ লাখ টাকা দেয়া হয়নি বলে সিআইডি জানায়।
হত্যার পর পলাতক থাকা মাসুমকে গ্রেপ্তারের পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে সিআইডি এ তথ্য প্রকাশ করে।