'মেয়েদের ১৬ বছরে বিয়ে, কন্যাশিশুর মানবাধিকার লঙ্ঘন'
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৭:০১ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সোমবার
নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে নিরাপদে কন্যাশিশুর বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে ১৮ বছর বয়সের আগে মেয়েদের বিয়ে অবৈধ ঘোষণা করেছে দেশের আইন। এ আইনের ফলে বাল্যবিবাহ কমে আসলেও, একেবারে বিলুপ্ত হয়নি।
অল্প বয়সে আশেপাশের অনেক মেয়ের বিয়ে কাউকে করেছে কৌতূহলী, কারো বা মনে ফেলেছে আতঙ্কের ছাপ। তারপরও, ছোট দু`চোখে রয়েছে বড় মানুষ হবার স্বপ্ন। গত বছর যুক্তিসংগত কারণ দেখিয়ে মা-বাবা বা আদালতের সম্মতিতে, ১৬ বছর বয়সে মেয়েদের বিয়ের বৈধতা দিয়ে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৪ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়। যা তুমুল সমালোচনার ঝড় তোলে দেশের সচেতন মহলে। সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আবারো মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন নারী অধিকার ও মানবাধিকারকর্মীরা।
১৬ বছরে মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারণের সিদ্ধান্তকে কন্যাশিশুর মানবাধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন নারীবাদী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এছাড়া, সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে, তা দেশের সংবিধান এবং আন্তর্জাতিক সনদে নারী ও শিশু অধিকারের অঙ্গীকারের লঙ্ঘন হবে বলেও মনে করছেন তারা। মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, শিশু অধিকার সংক্রান্ত যে অঙ্গিকারগুলো সরকার করেছে। সরকার নিজেই সরাসরি সেই অঙ্গিকারের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। এটা মানবাধিকারের ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ। আমরা কোনো দিনই এটা মেনে নেবো না।` এ সময় কন্যাশিশুর বিয়ের বয়স শর্তহীনভাবে নূন্যতম ১৮ বছর বহাল রাখারও দাবি জানান তারা।
