ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ১৮:১৯:৪৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

দুস্থদের তালিকা তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১১:২২ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২০ রবিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগকালে দিনমজুর এবং শ্রমজীবী মানুষের কাছে খাদ্য পৌঁছে দেয়া জরুরী উল্লেখ করে বলেছেন, ‘যারা খেটে খাওয়া মানুষ, দিন আনে দিন খায়, দিন মজুর শ্রেণী, তাদের কাছে আমাদের খাদ্য পৌঁছে দেয়া একান্ত জরুরী। তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থাও করতে হবে।’

শেখ হাসিনা আজ রোববার বিকেলে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে (পিএমও) প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত অনুদানের চেক গ্রহণকালে ভাষণে একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন প্রান্ত থেকে এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। তাঁর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পিএমওতে অনুদানের চেক গ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেই এখন গ্রামে চলে গেছেন। তাঁরা এখন বসে না থেকে যার যেখানে যতটুকুই জমি আছে সেই জমি যাতে অনাবাদি না থাকে। তাতে ফসল ফলান।

তিনি বলেন, ‘এই করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তাতে ব্যাপকভাবে খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী নিম্নবিত্ত এবং খেটে খাওয়া মানুষদের খাদ্যভাবের আশংকা ব্যক্ত করে বলেন, অনেকেই আছেন যারা দিন এনে দিন খেয়ে চলতে পারেন। কিন্তু তাঁদের আর্থিক অবস্থা এত ভাল নয় যে, তাঁরা জিনিষ পত্র জমা করে রাখবে এবং দিনের পর দিন চলতে পারবে। কাজ না করে বসে থাকলে তারাতো চলতে পারবেন না। কাজেই দীর্ঘদিন এই অবস্থা চলার ফলে তাঁরা ইতোমধ্যেই খুব কষ্টে আছেন।

এসব দুর্গত মানুষদের সহযোগিতার জন্য সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই খাদ্য সাহায্য পাঠিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভিজিডি, ভিজিএফ, সরকারের বৃত্তি এবং উপবৃত্তি সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কর্মসূচিগুলো অব্যাহত থাকবে।

এসব কর্মসূচি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুখ্য সচিব সহ সংশ্লিষ্ট মহলকে দিন মজুর ও খেটে খাওয়া শ্রেণীর জনগণের একটি তালিকা প্রণয়নেরও নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ‘দিন মজুরদেরও একটি তালিকা করতে হবে এবং তাঁদের মাঝেও আমাদের খাদ্য পৌঁছে দিতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এজন্য তালিকা প্রণয়ন করা হযেছে, এ ধরনের আরো তালিকা করার দরকার। যারা তালিকার বাইরে রয়েছেন তাঁদের জন্যও ব্যবস্থা করার দরকার রয়েছে।’

ডাক্তারদের পাশাপাশি নার্সদের সুরক্ষার জন্য পোষাক এবং পিপিই সামগ্রী প্রদানের প্রতি বিশেষভাবে নজর দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, তারাই মূলত রোগী নাড়াচাড়া করেন। এছাড়া হাসপাতালের অন্য যারা কাজকর্মে যুক্ত থাকেন তাঁদেরও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘সেজন্য আমরা নিজেরাও ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং প্রত্যেকটি জেলা-উপজেলা এবং ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত হাত ধোয়ার সাবান থেকে শুরু করে খাদ্য দ্রব্য এবং যা যা প্রয়োজন তা আমরা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং পৌঁছে দেব।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘মানুষকে কেবল ঘরে আটকে রাখলে হবে না তাদের খাদ্য এবং জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কাজেই সেইদিকে আপনাদের বিশেষভাবে নজর দেয়া দরকার।’