ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১০:১২:১৪ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

শ্রীলঙ্কায় করোনা: মুসলিমদের মৃতদেহও পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৪:২৪ পিএম, ৪ এপ্রিল ২০২০ শনিবার

শ্রীলঙ্কায় করোনা : মুসলিমদের মৃতদেহও পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে

শ্রীলঙ্কায় করোনা : মুসলিমদের মৃতদেহও পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে

করোনায় মারা যাওয়া সকল মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলছে দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। এদিকে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলা অথবা কবর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

শ্রীলঙ্কায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। এর মধ্যে দুজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী। ইসলামিক দাফনের রীতি লঙ্ঘন করে জোর করে তাদের মরদেহ পুড়িয়ে সৎকার করেছে শ্রীলঙ্কা সরকার।

মৃতদেহ সৎকারে মুসলিম রীতি না মেনে এমনকি মরদেহ ধৌত করতেও দেওয়া হয়নি বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে কাতারের সংবাদভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা।

জানা গেছে, গত বুধবার কলম্বোর বাসিন্দা ৭৩ বছর বয়সী বিসরুল হাফি মোহাম্মদ জুনুস নামে এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর পরের দিন তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

বিসরুল হাফির ছেলে ফয়েজ জুনুস জানান, এক সপ্তাহ আগে তার বাবার করোনা ধরা পড়ে। তার কিডনির সমস্যাও ছিল। করোনা সংক্রমণের ভয়ে তারা তার বাবার জানাজার নামাজ আদায় করতে পারেননি।

তিনি বলেন, ‘আমার বাবার মরদেহ পুলিশ পাহারায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং শ্মশানে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। যদি দাফনের বিকল্প থাকে তবে সরকারের ব্যবস্থা করা উচিত। কিন্তু পুড়িয়ে দেওয়াই একমাত্র বিকল্প নয়, আমরা ইসলামিক পদ্ধতি অনুসারে আমাদের প্রিয়জনকে কবর দিতে চাই।’

শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের দেহগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হবে। সেখানে আরও বলা হয়, মরদেহগুলো ধৌতও করা হবে না। একটি সিলযুক্ত ব্যাগ এবং একটি কফিনে রেখে পুড়িয়ে দেওয়া হবে।

সফটওয়্যার সল্যুশন কোম্পানি ডারাক্সের পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কায় প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৫৯ জন আর মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।

বিশ্বের ২০৫টি দেশ ও দুটি প্রমোদতরীর ১১ লাখ ১৭ হাজার ৮৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে। মৃত্যুবরণ করেছে ৫৯ হাজার ২০৩ জন। এ ছাড়া এই ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২৮ হাজার ৯৯০ জন।