ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০২, মে ২০২৪ ১২:১৬:০৪ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

রোগীর নিরাপত্তা: ডিএমসিতে চালু হচ্ছে না করোনা ইউনিট

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০৬:২৮ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০২০ শনিবার

রোগীর নিরাপত্তা: ডিএমসিতে চালু হচ্ছে না করোনা ইউনিট

রোগীর নিরাপত্তা: ডিএমসিতে চালু হচ্ছে না করোনা ইউনিট

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আপাতত করোনা ইউনিট চালু হচ্ছে না। অন্য রোগীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আজ শনিবার হাসপাতালের পরিচালক এ কে এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বার্ন ইউনিটকে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করার বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছিল। ওই আদেশে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকা মহানগরীতে কোভিড-১৯ হাসপাতাল সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে অবস্থিত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটকে কোভিড-১৯ হাসপাতাল হিসেবে ডেডিকেটেড করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

অতিরিক্ত সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরের অনুরোধ জানানো হয়।

চিঠি পাওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট প্রস্তুতি শুরু করেছিল। আজ সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট বৈঠকও করে বলে জানান হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক হোসাইন ইমাম। দুপুরের দিকে তারা জানতে পারেন আপাতত রোগী স্থানান্তর হচ্ছে না।

জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঢাকা ছাড়াও দেশের দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্তরা আসেন। জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগে স্থানান্তরিত হন। বার্ন ইউনিট এই জরুরি বিভাগ লাগোয়া। আর করোনা অত্যন্ত সংক্রামক হওয়ায় এই রোগ অন্য রোগে আক্রান্তদেরও ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা মনে করছেন। সে কারণেই আপাতত করোনা ইউনিট চালু না করার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়কে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তবে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক এ কে এম নাসির উদ্দীন বলেন, ‘আমরা এখন একটা যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আছি। পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নেবে আমাদের সিদ্ধান্তও সেভাবে নিতে হবে। কাজেই রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে আমাদের হয়তো সিদ্ধান্ত বদলাতে হবে।’