কৃষকদের থাকার জন্য হাওড় অঞ্চলের স্কুল খুলে দেয়ার নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ১০:৫০ এএম, ২০ এপ্রিল ২০২০ সোমবার
ছবি: সংগৃহীত
হাওড় অঞ্চলের বোরো ধান কাটতে কৃষকদের থাকার ব্যবস্থা করতে ওই অঞ্চলের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে বৃহত্তর সিলেট এবং বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের ধান কাটায় উৎসাহ দিতে শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, কিশোরগঞ্জ ,নেত্রকোনা জেলার হাওড় অঞ্চলের জেলাসমুহে বোরো ধান কাটার সময় শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যা পূবাভাস সতর্কীকরণ আগাম বন্যার আভাস দিয়েছে। হাওড় এলাকায় বছরে একবারমাত্র ফসল ফলে।
এই ফসল আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। হাওড় এলাকার চাহিদা পূরণ করে এই উৎপাদিত ধান দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে থাকে। এবার করোনাভাইরাস প্রভাবের ফলে আন্তির্জাতিক পর্যায়ে খাদ্য সংকট হতে পারে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাসমুহ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
সেইদিক দিয়ে হাওড় অঞ্চলের ধান যথাসময়ে এবং দ্রুততার সাথে হারভেস্ট করা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। এইক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সন্মানিত সদস্যবৃন্দ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। ধান কাটার জন্য এলাকার বাহিরে থেকে আসা শ্রমিকদের থাকার জন্য হাওড় এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন,করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকটে সন্মানিত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ তাদের এলাকার তাদের প্রাক্তন ছাত্র যারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে যাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ এবং যারা লেখাপড়া না করে অলসভাবে সময় কাটায় তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে এই চরম বিপদের সময় কৃষকদের পাশে দাড়ানো জন্য কাজ করতে পারেন।
আমার বিশ্বাস আপনারা যদি শিক্ষকরা তাদের প্রাক্তন ছাত্রদের প্রকৃতভাবে অনুরোধ করেন এবং উদ্বুদ্ধ করেন তবে তারা শিক্ষকদের অনুরোধ শুনবে। কারণ আমরা আমাদের শিক্ষকদের কথা কখনো অমান্য করিনা। আমি আজ হাওড় অঞ্চলের সকল ডিপিওদেরকে আমার পক্ষে এই বার্তাটি সকল হাওড় অঞ্চলের সন্মানিত শিক্ষকসম্প্রদায়কে পৌছে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। আশা করি তারা আমার এই আবেদন সকলের কাছে পৌছে দিবেন।
-জেডসি