ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ৬:০৫:২১ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

করোনা: দেশের ৬ কোম্পানিকে রেমডিসিভি উৎপাদনের অনুমতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:১৪ পিএম, ৪ মে ২০২০ সোমবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত ওষুধ রেমডিসিভির উৎপাদনের জন্য প্রাথমিকভাবে দেশের ছয়টি কোম্পানিকে অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এরমধ্যে দুটি কোম্পানি চলতি মাসেই ওষুধটি বাজারে আনবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান।

অনুমতি পাওয়া ছয় কোম্পানি হলো- এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, হেল্থকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।

করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এর প্রতিরোধক ভ্যাকসিন কিংবা কার্যকর প্রতিষেধক ওষুধ তৈরির জন্য দেশে দেশে চেষ্টা চলছে। এরমধ্যে বর্তমানে বাজারে বিদ্যমান কয়েকটি ওষুধের নামও এসেছে। তবে গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং দেশটির বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকের পর করোনার জরুরি চিকিৎসার জন্য রেমডিসিভির ব্যবহারের অনুমতি দেয় মার্কিন ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন-এফডিএ।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আগে থেকেই আমাদের প্রস্তুতি ছিল। এটি আসলে পুরোনো মেডিসিন; ইবোলার জন্য ব্যবহার হতো। এটা করোনাতেও ব্যবহার হতে পারে, সে ধরনের একটা ধারণা আমাদের ছিল। সেজন্য আমরা প্রস্তুতি নেই। আমাদের যে উৎপাদকরা আছে তাদের সঙ্গেও আমাদের আলোচনা হয়েছে।

ইনজেকশন হিসেবে করোনা রোগীদের জন্য ওষুধটি মে মাসের মধ্যেই বাজারে আসবে জানিয়ে মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, এসকেএফ ও বেক্সিমকো অনেকখানি এগিয়ে গেছে। আশা করা যায়, এই মাসেরই ২০ তারিখের মধ্যে ওরা প্রডাকশনে চলে আসবে। এছাড়া জুনের মধ্যেই চলে আসবে অনেকেই।

মার্কিন গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের ওপর ওষুধটি যত দ্রুত ব্যবহার করা যায় তত বেশি কার্যকর হয়। লক্ষ্মণ অনুযায়ী অন্য ওষুধ ব্যবহার করা রোগীদের যেখানে সুস্থ হতে ১৫ দিনের মতো সময় লেগেছে সেখানে রেমডিসিভির প্রয়োগ করা রোগীরা মোটামুটি ১১দিনেই সুস্থ হয়েছেন।

তারা বলছেন, আগেভাগেই ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়েছে এমন শতকরা ৬২ ভাগ রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে। আর যেসব রোগীকে দেরিতে দেয়া হয়েছে তাদের শতকরা ৪৯ ভাগ হাসপাতাল ত্যাগ করে।

-জেডসি