ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫, এপ্রিল ২০২৪ ১৪:১৫:২১ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

করোনার জিন রহস্য উন্মোচনের দাবি বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০২:১৮ পিএম, ১৩ মে ২০২০ বুধবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

বাংলাদেশে সংক্রমিত করোনাভাইরাসের (সার্স সিওভি-২) জিনোম সিকোয়েন্স বা জিন রহস্য উন্মোচনের দাবি করেছে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএইচআরএফ) নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এরইমধ্যে জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য-উপাত্ত গ্লোবাল জিনোম ডেটাবেইজে (জিআইএসএআইডি) জমা দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে।

চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহা গণমাধ্যমকে জানান, আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে আমরা করোনাভাইরাসের আরো ১৫টি জিনোম সিকোয়েন্স সম্পন্ন করতে পারবো। এর ফলে বাংলাদেশে যে করোনাভাইরাস, সেটার পুরো অবয়ব বোঝা যাবে। এর শক্তি কতটুকু সেটা বোঝা যাবে এবং এটা কোন গতিতে চলবে, এর গতি প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা করতে পারবো।

তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের এই কারণে যে, এই প্রথম বাংলাদেশ একটি ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স করলো। এর আগে এটির জন্য আমাদের বিদেশের মুখাপেক্ষী হতে হতো। সেখানে হয়তো আমরা সহযোগী হিসেবে থাকতাম। কিন্তু এখানে সেঁজুতির (ড. সমীর কুমার সাহার কন্যা) টিম আমার তত্ত্বাবধানে এটি সম্পন্ন করেছে।

ড. সমীর কুমার সাহা বলেন, এই জিনোম সিকোয়েন্সের ফলে যখন ভ্যাকসিন আসবে, তখন আমাদের সবচেয়ে উপকার হবে যে, কোন ভ্যাকসিনটা আমাদের জন্য কাজে লাগবে, কোনটা আমাদের কাজে লাগবে না সেটা আমরা বুঝতে পারবো। একইসঙ্গে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করা এবং এই ভাইরাস মোকাবিলায় পরিকল্পনা সাজানো আমাদের জন্য সহজ হবে।

ড. সমীর কুমার সাহা বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের মাইক্রো বায়লোজি বিভাগের প্রধান এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ভাইরাস সংক্রান্ত দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন।

‘জিনোম’ কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন জার্মানির হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক হান্স ভিঙ্কলার। তিনি ‘জিন’ ও ‘ক্রোমোজোম’- এ দুটি শব্দ জোড়া লাগিয়ে তৈরি করেন জিনোম শব্দটি।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, কোনো জীবের জিনোম বলতে সেটির সমস্ত বংশগতিক তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়, যা সেটির ডিএনএ-তে সংকেতাবদ্ধ থাকে। আর এই জিনোমের সম্পূর্ণ তথ্য জানার ব্যপারটাই হলো জিনোম সিকোয়েন্সিং।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়। ভাইরাসে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনো অব্যাহত আছে। পঞ্চম দফায় সেই ছুটি বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। তার আগেই আরেক দফা ছুটি বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত করা হয়। চলমান এ ছুটি আরেক দফা বাড়িয়ে ঈদ পর্যন্ত নেয়া হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে।

-জেডসি