ঢাকা, শনিবার ২০, এপ্রিল ২০২৪ ১১:৫৪:১৫ এএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

করোনা চিকিৎসায় এবার গাউচার রোগের ওষুধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৫ পিএম, ২৮ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার

ছবি: ইন্টারনেট

ছবি: ইন্টারনেট

করোনার চিকিৎসায় গাউচার রোগের দুটি ওষুধ কার্যকরী বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা। গাউচারের হলো একটি জিনগত রোগ যা লিভার, প্লিহা এবং অন্যান্য অঙ্গে চর্বিযুক্ত পদার্থ গঠনের কারণ হয়ে থাকে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসরায়েল ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল রিসার্চের (আইআইবিআর) বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় গাউচার রোগের ওষুধ দিয়ে কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে আশাব্যাঞ্জক ফলাফল পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

গবেষণায় বলা হয়েছে, বিদ্যমান ওষুধ সেরডেলগা এবং আরেকটি ওষুধ যা বর্তমানে অনুমোদনের পর্যায়ে রয়েছে- এই দুটি ওষুধ সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিভাইরাল থেরাপিউটিক এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারে।

মুদ্রণ অবস্থায় প্রকাশের আগে বায়োআরএক্সআইভি প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যাচ্ছে গবেষণাপত্রটি। তাতে বলা হয়েছে, উভয় ওষুধ ব্যবহার করে অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসার ফলে করোনাভাইরাসটির রেপ্লিকেশন বা প্রতিলিপি ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ হ্রাস পায়। অর্থাৎ সংক্রামিত কোষে ভাইরাসটি নিজের অসংখ্য কপি তৈরি করতে পারে না, ফলে কোষের ক্ষতি রোধ হয়।

গবেষণার জন্য আইআইবিআর-এর গবেষকরা সেরডেলগা এবং রেমডেসিভির ওষুধের অ্যানালগগুলো পরীক্ষা করেছেন বলে জেরুজালেম পোস্টকে জানিয়েছেন। এই ট্রায়ালটি টেস্টটিউবে সেল কালচারের মধ্যে করা হয়েছে এবং বিজ্ঞানীরা এখন প্রাণীর ওপর ওষুধগুলো পরীক্ষা করে দেখছেন যে, ফলাফল একই দেয় কিনা।

আইআইবিআর-এর ২৪ পৃষ্ঠার গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সার্স-কোভ-২ ভাইরাস সংক্রমণটি চিকিৎসা করা হয়নি এমন কোষের ৪০ শতাংশ কার্যকারিতা হ্রাস করে। সেরডেলগা এবং রেমডেসিভির ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসার ফলাফলে দেখা গেছে, কোষের কার্যকারিতা ৭৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।’

দুটি ওষুধই এর আগে অন্যান্য ভাইরাসের স্ট্রেইন যেমন প্রাণীর ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফলাফলগুলো ক্লিনিক্যালভাবে অনুমোদিত হলে, ভবিষ্যতে নতুন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকানো সহ কার্যকরভাবে বিভিন্ন ভাইরাল রোগের সম্ভাব্য চিকিত্সা নির্দেশ করে।

আইআইবিআর, ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি সরকারি গবেষণা সংস্থা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই সংস্থাটি কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসা এবং ভ্যাকসিনের গবেষণায় গভীরভাবে জড়িত রয়েছে। সংস্থাটি ইতিমধ্যে তাদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের পরীক্ষা প্রাণীর ওপর সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। যা মানুষের ওপর ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালানোর পথ তাদের জন্য সহজ করে দিয়েছে।


-জেডসি