ইউনাইটেডে করোনার রোগীদের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রাখা হয়েছিল
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০২:৪৩ পিএম, ২৮ মে ২০২০ বৃহস্পতিবার
ইউনাইটেড হাসপাতালে করোনার রোগীদের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রাখা হয়েছিল: ফায়ার সার্ভিস
রাজধানীর গুলশানের অভিজাত ইউনাইটেড হসপিটালে বুধবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে পাঁচজন রোগী নিহত হয়েছেন তাদের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রাখা হয়েছিল। আগুন লাগার সময় রোগীদের আশেপাশে হাসপাতালের কেউ ছিলো না। ফলে তারা বের হয়ে আসতে পারেনি।
আজ বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দেবাশিষ বর্ধন বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেবার জন্য ইউনাইটেড হসপিটালে একটি অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। মূল ভবনের পাশে অস্থায়ী ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা দেবাশিষ বর্ধন আরো বলেন, আইসোলেসন সেন্টারে রোগীদের অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রাখা হয়েছিল। এটা ভেরি রিস্কি ছিল (খুব ঝুঁকিপূর্ণ), ভেরি রিস্কি। যারা মারা গেছেন তারা ঠিক সানশেডের নিচে মারা গেছেন।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন করোনা পেশেন্টের আশপাশে কেউ থাকে না। এই সময়ও কেউ ছিলো না। তাই আগুন লাগার পর তারা কেউ বের হতে পারেনি। হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, করোনা আইসোলেশন ইউনিটের জন্য ১১ টি ফায়ার এক্সটিংগুইশারের মধ্যে আটটি ছিল মেয়াদোত্তীর্ন।
আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এই ধরণের হাসপাতালে রোগী আসে ভালো হবার জন্য। যদি রোগী মারা যায় তাহলে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
এদিকে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ রোগী নিহত হবার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বুধবার রাতেই একটি বিবৃতি দিয়েছে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্ভবত বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন আইসোলেশন ইউনিটের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। সেসময় আবহাওয়া খারাপ ছিল এবং বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। বাতাসের তীব্রতায় আগুন প্রচণ্ড দ্রুততার সাথে ছড়িয়ে পড়ার ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে ভর্তি পাঁচজন রোগীকে বাইরে বের করে আনা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার তদন্তে ফায়ার সার্ভিসকে ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পূর্ণ সহায়তা করছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।