করোনা রোগীকে ‘চলে যেতে চাপ দিচ্ছে’ ইউনাইটেড
নিজস্ব প্রতিবেদক
উইমেননিউজ২৪
প্রকাশিত : ০৩:০৯ পিএম, ৩০ মে ২০২০ শনিবার
করোনা রোগীকে ‘চলে যেতে চাপ দিচ্ছে’ ইউনাইটেড
গুলশানে বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস আক্রান্ত এক রোগীকে অন্য কোথাও চলে যেতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রাজধানীর কুড়িল চৌরাস্তা এলাকার বাসিন্দা সুলতান মিয়া নামের ওই রোগী কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এই হাসপাতালে ভর্তি হন।
শুক্রবার রাতে সুলতান মিয়া জানান, সপ্তাহখানেক আগে তার জ্বর আসে। জ্বর না কমা এবং সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় বুধবার ইউনাইটেড হাসপাতালে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। পরীক্ষায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হলে বৃহস্পতিবার এখানে ভর্তি হন তিনি। তাকে ‘অবজারভেশন ওয়ার্ডে’ রাখা হয়েছে।
‘তবে আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই আমাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাড়া দেওয়া হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেন এই রোগী।
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে আছি। মাস্ক খুললেই শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। এ অবস্থায় আমাকে চলে যেতে বলছে। আমি কোথায় যাব? অক্সিজেন লাগানো থাকলে কিছুটা ভালো বোধ করি।’
সুলতান মিয়ার স্ত্রী ফারহানা তাবাসসুম অভিযোগ করেন, ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে তাকে ‘কিছুক্ষণ পরপর ফোন দেওয়া হচ্ছে’ রোগীকে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার জন্য। তবে দিনভর ঢাকার সবগুলো হাসপাতাল ঘুরেও আইসিইউর ব্যবস্থা করতে পারেননি বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডা. সাগুফা আনোয়ার বলেন, ‘ওই রোগী ওয়ার্ডে আছে। সেখানেই তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে। আমাদের আইসিইউ বেড একটাও খালি নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে গেলে তাদের আইসিইউতে নিতে হয়। তাই যাদের আইসিইউ প্রয়োজন তাদের বলছি, যেকোনো হাসপাতালে আইসিইউ পেলে শিফট করতে। আমাদের আইসিইউ ফুল। কোনো খালি নেই।’
এর আগে বুধবার রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালের মূল ভবনের বাইরে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান পাঁচজন রোগী। পরে তদন্তে হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপণে নানা অব্যবস্থাপনার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানায় ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে, এপ্রিলে ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ পাঁচজনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়লে তা গোপন করার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ওই হাসপাতালেরই অন্তত দুজন চিকিৎসক এ অভিযোগ করেছিলেন।